যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য প্রত্যাহারের দাবিতে লাখো মানুষের মিছিল
ইরাক থেকে সব মার্কিন সৈন্য অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে লাখো মানুষের মিছিল হয়েছে বাগদাদে৷ ধর্মীয় নেতা মুকতাদা আল-সাদরের আহ্বানে আয়োজিত মিছিল থেকে ‘‘যুক্তরাষ্ট্র নিপাত যাক, ইসরায়েল নিপাত যাক’’ ধ্বণি ওঠে৷
সরকারবিরোধী বিক্ষোভে বিরতি, এবার যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী মিছিল
২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে ইরাক জুড়ে দীর্ঘদিন চলেছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ৷ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বিক্ষোভ থামাতে গুলি চালায় বলেও অভিযোগ রয়েছে৷ তাতে অন্তত ৪৭০জন মারা যায়৷শুক্রবার আবার বিক্ষোভ হলো রাজধানী বাগদাদের রাজপথে৷ তবে এবারের বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে৷ ওপরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের ছবি৷
যার আহ্বানে এই বিক্ষোভ
ইরাক থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মার্কিন সেনা সরিয়ে নেয়ার দাবিতে এই বিক্ষোভমিছিলের আহ্বান জানিয়েছিলেন সে দেশের শিয়াদের ধর্মীয় নেতা মুকতাদা আল-সদর৷ তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে লাখো জনতা রাজপথে নেমে এলে শহরের বড় একটা অংশে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়৷
‘লড়তে প্রস্তুত, মরতে প্রস্তুত’
বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেয়া অনেকের গায়ে ছিল কাফনের কাপড়৷ তাদের কয়েকজন বার্তা সংস্থাগুলোকে বলেছেন, ‘‘ইরাক থেকে মার্কিন সেনাদের ফেরত পাঠাতে প্রয়োজনে আমরা লড়তে প্রস্তুত, সেই লড়াইয়ে মরতেও প্রস্তুত৷’’
মুকতাদার ছবি হাতে মিছিল
অনেকেই ধর্মীয় নেতা মুকতাদা আল-সাদরের ছবি হাতে বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেন৷ ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর ইরাকে হামলা শুরুর পর থেকে সে দেশে মুকতাদা আল-সাদরের জনপ্রিয়তা বাড়ছে৷ ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন পায় তার দল৷
পতাকা নিয়ে মিছিল
বিক্ষোভকারীদের একাংশকে রাস্তায় ইরাকের বড় একটি পতাকা বিছিয়ে ‘যুক্তরাষ্ট্র নিপাত যাক, ইসরায়েল নিপাত যাক’’ স্লোগান দিতে দেখা যায়৷
যুক্তরাষ্ট্র নীরব
গত ৩ জানুয়ারি যুক্তরাষ্টের ড্রোন হামলায় ইরানের কুদস বাহিনীর প্রধান সুলেইমানি এবং ইরাকের আধা সামরিক বাহিনীর নেতা আবু মাহদি-আল মুহানদিসসহ আট জন নিহত হন৷ দু’দিন পর দেশ থেকে সব বিদেশি সৈন্য প্রত্যাহারের বিল পাস হয় ইরাকের সংসদে৷ সরকার অবশ্য সংসদের এ সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য নয়৷ যুক্তরাষ্ট্রও সেনা সরানোর উদ্যোগ নেয়নি৷ পর্যায়ক্রমে অনেক সৈন্য সরিয়ে নিলেও এখনো পাঁচ হাজার ২০০ মার্কিন সৈন্য আছে ইরাকে৷