ম্যারাকেশের নতুন স্বর্গ
মরক্কোর এই শহরটিতে ‘আনিমা- ফিরে চলুন স্বর্গে’ নামের একটি জায়গা রয়েছে৷ অস্ট্রিয়ান মাল্টিমিডিয়া আর্টিস্ট আন্দ্রে হেলারের তৈরি করা এই কাল্পনিক বাগিচা ঘুরতে গিয়েছিলেন ডয়চে ভেলের ফোলকার ভিটিং৷
দুর্দান্ত ম্যারাকেশ
মরক্কোর মেগাসিটি ম্যারাকেশ সর্বদাই প্রচণ্ড ব্যস্ত, প্রাণচঞ্চল৷ পুরনো শহরটি জুড়ে ধাঁধার মতো ছড়িয়ে আছে রাস্তাঘাট৷ ঐতিহাসিক খোলাবাজারগুলোকে বলা হয় সৌক৷ মরক্কোর সৌকগুলো আফ্রিকা মহাদেশেই সবচেয়ে বড়৷ ঐতিহ্যবাহী পোশাক, বাসনপত্র ও গয়নার অপূর্ব সমাহার মিলে এইগুলোতে৷
স্বর্গযাত্রা
প্রকৃতির শান্ত ছোঁয়া পেতে ঔরিকা উপত্যকার আনিমা গার্ডেনে যেতে হবে আপনাকে৷ ম্যারাকেশ থেকে শাটল বাসে সময় লাগবে ৪০ মিনিট৷ ২০০৮ সালে এই জায়গা কিনে নেন৷ ২০১৬ সালের বসন্তে খুলে দেয়া হয় এটি৷ এখনও খুব বেশি মানুষের কাছে পৌঁছায়নি দারুণ এই জায়গাটির খবর৷
পতিত জমির বদল
একসময় এই এলাকাটি পতিত জমি ছিল৷ কিন্তু সেই জায়গাটিকেই পরিণত করা হয়েছে অ্যানিমেটেড বাগানে৷ নানা রকমের বৃক্ষ, ফুলের সমাহার, সুগন্ধি গাছের সমাহার৷ শান্ত এই পরিবেশে কান পাতলেই শোনা যায় পাখির গুঞ্জন আর ফোয়ারার শব্দ৷ মাঝেমধ্যে কানে আসে পর্যটকদের আলাপচারিতা৷
আনন্দের উৎস
বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করে এ বাগান গড়ে তুলেছেন হেলার৷ দর্শণার্থীদের জন্য আনন্দের এক ভুবন খুলে দিতে চান তিনি৷ সে তুলনায় প্রবেশমূল্য অবশ্য রাখা হয়েছে সামান্যই৷ মরক্কানদের জন্য ছয় ইউরো, বিদেশিদের জন্য এর দ্বিগুণ৷
প্রকৃতি ও শিল্পের মেলবন্ধন
পিকাসোর করা সিরামিকের কাজ, কঙ্গো থেকে আনা মূর্তি এবং কাইথ হারিং এর নানা শিল্পকর্ম রয়েছে এই বাগানজুড়ে৷ বাগানের বৃক্ষরাজির সঙ্গে বেস মানিয়েও গেছে এসব শিল্পকর্ম৷
রূপকথার রাজ্য
বাগানের প্রতিটি মোড়েই নতুন নতুন বিস্ময় লুকিয়ে রয়েছে দর্শণার্থীদের জন্য৷ এ যেন আরব্য রজনীর সহস্র এক রাতের মতো নতুন কিছু আবিষ্কারের নেশা৷ মরক্কোকে ভালোবাসেন বলে আন্দ্রে হেলারকে প্রায়ই তার বাগানে ঘুরতে পাওয়া যায়৷
অর্থনীতিও চাঙা
হেলারের এই বাগান গ্রামটির জন্য সবচেয়ে বড় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে৷ বাগানের মালি, নিরাপত্তাকর্মী, ক্যাফের কর্মী থেকে শুরু করে নানা কাজে গ্রামবাসীকেই নিয়োগ দিয়েছেন হেলার৷ ক্যাফেতে স্থানীয়ভাবে প্রস্তুত করা লেবুর শরবত পাওয়া যায়, দূরের আটলাস পর্বতমালার দৃশ্যও উপভোগ করা যায়৷