1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডর্টমুন্ড তুঙ্গে

২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

মঙ্গলবার ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগের দু’টি খেলা৷ একদিকে কোচ ময়েসের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড গ্রিসে গিয়ে যেমন হতাশ করেছে, তেমনই বোরুসিয়া ডর্টমুন্ড রাশিয়ায় গিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছে যে, তারা তাদের ফর্ম ঠিকই বজায় রেখেছে৷

https://p.dw.com/p/1BFVJ
Zenit St. Petersburg - Borussia Dortmund
ছবি: picture-alliance/dpa

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড যে অলিম্পিয়াকস পিরেয়ুসের কাছে ২-০ গোলে হারবে, এটা বোধহয় ম্যান ইউ ফ্যানরা দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি৷ বিশেষ করে তার আগেই যখন জার্মানির বোরুসিয়া ডর্টমুন্ড রাশিয়ার জেনিট সেন্ট পিটার্সবার্গ-কে ৪-২ গোলে হারায়৷

সেন্ট পিটার্সবার্গে ডর্টমুন্ড যে ক্ষেপে খেলবে, সেটা আগেই আন্দাজ করা গিয়েছিল, বিশেষ করে গত সপ্তাহান্তে বুন্ডেসলিগার খেলায় দীন-হীন, সংকটপীড়িত হামবুর্গ ডর্টমুন্ডকে ৩-০ গোলে হারানোর পর৷ এছাড়া এবারকার চ্যাম্পিয়নস লিগে ডর্টমুন্ডকে প্রমাণ করতে হবে যে, গতবছর তাদের ফাইনালে ওঠাটা কাকতালীয় ছিল না৷

জেনিটের বিরুদ্ধে খেলায় ডর্টমুন্ড গোড়াতেই ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর জেনিট প্রতিবার একটি গোল পরিশোধ করলেই ডর্টমুন্ড আরেকটি গোল করেছে৷ খেলার মাত্র চার মিনিটের মাথায় ডর্টমুন্ডের মার্কো রয়েসের একেবারে পেনাল্টি এরিয়ার মধ্যে ঢুকে পড়া একটি দৌড় থেকে ডর্টমুন্ডের প্রথম গোলটি করেন হেনরিখ ম'খিতারিয়ান৷

জেনিট সেই ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই, মাত্র দু'মিনিট পরে রবার্ট লেভান্ডোভস্কির পাসে দ্বিতীয় গোলটি করেন রয়েস৷ ৫৮ মিনিটের মাথায় জেনিটের হয়ে অলেগ শাটভ একটি গোল শোধ করেন বটে, কিন্তু লেভান্ডোভস্কির চটজলদি গোলে স্কোর আবার দাঁড়ায় ৩-১৷ পরে জেনিট-এর ব্রাজিলিয়ান ‘হোয়াইট হোপ' হুল্কের পেনাল্টি শটে জেনিট ৩-২-তে এসে পড়লেও, সেই লেভান্ডোভস্কিই আবার রয়েসের পাসে তাঁর দ্বিতীয় গোলটি করেন: খেলার চূড়ান্ত ফলাফল দাঁড়ায় ৪-২৷ এরপর ডর্টমুন্ডের কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ রিটার্ন লেগের খেলা সম্পর্কে যতই সতর্ক করে দিন না কেন, মোটামুটি ধরেই নেওয়া যায় যে ডর্টমুন্ড কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছচ্ছে৷

ম্যানচেস্টারের ‘মেল্টডাউন'

আণবিক চুল্লির দুর্ঘটনায় যেরকমটি হয়ে থাকে আর কী! অথচ পিরেয়ুসে ম্যানচেস্টারের বল পজেশন ছিল ৫৪ শতাংশ৷ অলিম্পিয়াকস কিন্তু ম্যানচেস্টারের চাপ সামলে নিয়ে পাল্টা-আক্রমণের সুযোগের অপেক্ষায় থেকেছে – এবং এই নীতি সফলও হয়েছে: ৩৮ মিনিটের মাথায় আলেহান্দ্রো দমিঙ্গেজ পিরেয়ুসের হয়ে প্রথম গোলটি করেন৷

তারপরে আবার ৫৪ মিনিটের মাথায় পিরেয়ুসের আর্সেনাল থেকে ধার করা খেলোয়াড় জোয়েল ক্যাম্পবেল দ্বিতীয় গোলটি করেন – যেখানে ম্যানচেস্টারের হয়ে প্রায় একমাত্র সুবর্ণ সুযোগটি বিনষ্ট করেন রবিন ফ্যান পার্সি স্বয়ং৷ সাধে কি আর ম্যান ইউ-এর বিপদগ্রস্ত কোচ ডেভিড ময়েস খেলার পর বলেছেন: ‘‘ইউরোপে আমরা কখনো আর এর চেয়ে খারাপ খেলিনি৷''

এসি/এসবি (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য