ম্যানিলায় জিম্মি নাটকের অবসান, নিহত ৯
২৪ আগস্ট ২০১০জিম্মি নাটকের অবসান
জিম্মি ১৫ পর্যটকের মধ্যে আটজনই নিহত, সঙ্গে নিহত জিম্মিকারী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা৷ বাকি সাত পর্যটক আহত হয়েছেন৷ হতাহত পর্যটকরা সবাই হংকং এর অধিবাসী৷ এই হচ্ছে ১২ ঘণ্টার জিম্মি নাটকের যবনিকা৷
আলোচনায় পুলিশ
যে বিষয়টি নিয়ে এখন আলোচনা সেটি হচ্ছে, সংকট নিরসনে এতগুলো প্রাণহানির আদৌ কি দরকার ছিল? কেননা জিম্মিকারী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা রোলান্ডো মেন্ডোজা আলোচনার সময় শিশুসহ নয় পর্যটককে ছেড়ে দেন৷ কিন্তু তারপরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার পেছনে ফিলিপাইন্স সরকারকে দায়ী করছেন অনেকে৷ বিশেষ করে যে বাহিনী জিম্মি মুক্তিতে অংশ নিয়েছে তারা পর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত নয় এবং তাদের কাছে প্রয়োজনীয় উপকরণও ছিল না বলে অভিযোগ৷ ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট বেইগ্নো আকুইনো স্বীকারও করেছেন তা৷ তিনি বলেছেন, আমরা বিষয়টির পুর্ণাঙ্গ তদন্ত করবো৷ মানুষের নিরাপত্তা বাড়াতে নতুন কর্মপন্থা শুরু করবো আমরা৷ পুলিশ প্রশিক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ক্রয়ের পেছনেও অর্থ ব্যয় করা হবে৷ বিশেষ করে আজকে যেসব প্রশিক্ষণ এবং সরঞ্জামের ঘাটতি দেখা গেছে তা পূরণ করা হবে৷
মুক্তদের কথা
মুক্তি পাওয়া অধিকাংশ জিম্মি তেমন কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি৷ তবে মিসেস লিউং নামক একজন উদ্ধারের পর বলেন, আমরা বেশ কয়েকঘণ্টা আতঙ্কের মধ্যে ছিলাম৷ এটা নিষ্ঠুরতা৷ তিনি দাবি করেন, জিম্মি উদ্ধারে পুলিশের তৎপরতা ছিল খুবই ধীরগতির৷
হতাশ হংকং
উদ্ধার কর্মকাণ্ড হতাশাজনক ছিল বলে মত দিয়েছেন হংকং এর প্রশাসনিক প্রধান ডোনাল্ড চ্যাংও৷ তিনি বলেন, এটি অত্যন্ত বিয়োগান্ত৷ বিষয়টি যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে, বিশেষ করে তার ফলাফল খুবই হতাশাজনক৷
উল্লেখ্য ২০০৮ সালে মাদক সংক্রান্ত অপরাধে চাকরি থেকে বরখাস্ত হন পুলিশ কর্মকর্তা রোলান্ডো মেন্ডোজা৷ সেই হারানো চাকরিটা ফিরে পেতেই বিদেশি পর্যটকদের জিম্মি করেছিলেন রোলান্ডো৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই