ম্যাচ পাতানোর নতুন কলঙ্কে পাকিস্তানি ক্রিকেট দল
২৯ আগস্ট ২০১০বেশ নড়ে চড়ে ওঠে ব্রিটিশ গোয়েন্দা এবং পুলিশ দপ্তর৷ সাথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পরিষদ - আইসিসি'ও৷ ঘটনার সাথে জড়িত ৩৫ বছর বয়সি একজনকে আটক করল লন্ডন পুলিশ৷ বিতর্কের শুরু ‘নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড' এ ঘটনার বিস্তারিত প্রকাশ হওয়ার পর৷ খবরে প্রকাশ, পাকিস্তানি ক্রিকেট দলের বেশ কিছু তারকা নাকি জড়িত রয়েছেন মোটা অঙ্কের বাজিধরার অপকর্মের সাথে৷ এমনকি লর্ডস টেস্টে একই কারণে ইচ্ছাকৃতভাবে এবং পরিকল্পনামাফিক নো-বল করেছে পাকিস্তানি বোলাররা, বলছে ব্রিটেনের এই সাপ্তাহিক ট্যাবলয়েড৷
এমনকি এই ঘটনার সাথে অধিনায়ক সালমান বাট, দুই পেসার মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমির এবং উইকেট কিপার কামরান আকমল জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে৷ খবরে প্রকাশ, আটক জুয়াড়ির নাম মাজহার মাজিদ৷ এই দফায় তাঁর পকেটে গেছে এক লাখ পঁচাশি হাজার ইউরো৷ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন পাকিস্তান দলের ম্যানেজার ইয়ার সাইদ৷ তিনি বলেন, দলের হোটেলে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের গোয়েন্দারা বাট, আসিফ, আমির এবং কামরানের সঙ্গে কথা বলেছে৷ তাঁর সঙ্গেও গোয়েন্দাদের কথা হয়েছে৷ এছাড়া আরও তিন খেলোয়াড়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে গোয়েন্দারা৷
পাকিস্তানি ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ নতুন না হলেও বেশ মর্মাহত পাকিস্তানের ক্রিকেট জগত৷ আইসিসি'র সাবেক প্রেসিডেন্ট এহসান মনি বলেন, ‘‘এটা খুবই দুঃখজনক৷ আমি বুঝি না কিভাবে এটা ঘটে৷ পাকিস্তানি ক্রিকেট প্রশাসন কী করছিল?'' তবে এর জন্য আইসিসি'র দুর্নীতি দমন শাখাকেও দোষারোপ করেন মনি৷ প্রশ্ন তোলেন, ‘‘যখন একটি পত্রিকা এসব ঘটনার তথ্য প্রকাশ করতে পারল, তখন আইসিসি'র এই শাখাটি কী করছিল? এটি ক্রিকেটের জন্য একটি লজ্জার বিষয়৷''
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানি ক্রিকেট দলের ম্যাচ পাতানোর ঘটনার শুরু সেই ১৯৭৯-৮০ মৌসুমে৷ ১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপেও একই অভিযোগ ওঠে৷ তবে সবচেয়ে মারাত্মক অভিযোগটি ছিল ১৯৯৪ সালে৷ আর তাতে বরখাস্ত হয়েছিলেন তৎকালীন অধিনায়ক সেলিম মালিক এবং পেসম্যান আতাউর রেহমান৷ এছাড়া জরিমানা হয়েছিল অপর ছয় শীর্ষ ক্রিকেট তারকার৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম