1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মোটা হবার কারণ শুধু অতিরিক্ত খাবার নয়

২৬ মার্চ ২০১৯

শুধু অতিরিক্ত বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলেই শরীর স্থূল হয়ে যায় না৷ লাইপোয়েডিমার মতো রোগের কারণেও এমনটা ঘটতে পারে৷ অসহনীয় ব্যথা ও কষ্টের কারণে রোগীদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়৷

https://p.dw.com/p/3Fet1
Eine dicke Frau betrachtet die Cellulite auf ihrem Oberschenkel
ছবি: picture-alliance/CHROMORANGE/L. Timm

 

 লাইপোয়েডিমার রোগী নিনা উলেনব্রক-কে বছরে দু'বার কমপ্রেশন স্টকিং-এর জন্য মাপ দিতে হয়৷ লাইপোয়েডিমার রোগী হিসেবে তাঁকে পায়ে এবং হাতে সবসময়ে এই চাপা আবরণ পরে থাকতে হয়৷ তিনি বলেন, ‘‘লাইপোয়েডিমার ব্যথা কিছুটা সহনীয় করে তুলতে কমপ্রেশনের ব্যবস্থা করতে হয়৷ কমপ্রেশন স্টকিং পায়ের ভারও লাঘব করে৷ প্রতিদিন মনে হয়, শরীরের ভার যেন দ্বিগুণ হয়ে নীচে ঝুলছে৷ এই স্টকিং সেই কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করে বৈকি৷''

তিনি জানেন, অনেকেই তাঁকে শুধু অতি হিসেবে দেখেন৷ কিন্তু সেই ধারণা আসলে ভুল৷ লাইপোয়েডিমা এমন এক রোগ, যা ত্বকের নীচের চর্বি বাড়িয়ে দেয়৷ ফলে জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে ওঠে৷ হাত-পা ফুলে যায়, এমনকি আঙুলও ফুলেফেঁপে ওঠে৷ নিনা উলেনব্রক বলেন, ‘‘লাইপোয়েডিমার চর্বি মোটেই স্বাভাবিক চর্বির মতো নয়, বরং তার পরিবর্তিত রূপ৷ সাধারণ চর্বির তুলনায় তা আরও শক্ত ও মোটা৷ ফলে অত্যন্ত ব্যথা হয়৷ ত্বকে ছোঁয়া পেলে, ধাক্কা লাগলে প্রচণ্ড কষ্ট হয়৷ এমন ব্যথা কল্পনা করাও কঠিন৷''

নিনা উলেনব্রক এমন রোগীদের মধ্যে এক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে চান৷ আনিকা সিভার্স-এর সঙ্গে তিনি এক সার্পোর্ট গ্রুপ গড়ে তুলেছেন৷ তার নিজস্ব ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পাতাও রয়েছে৷ ২০ জন নারী এই গ্রুপে সক্রিয় হয়েছেন৷ স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় অংশ নেওয়াই এই উদ্যোগের লক্ষ্য৷ লাইপোয়েডিমার রোগী আনিকা সিভার্স বলেন, ‘‘মনে আছে, কত বছর ধরে গ্রীষ্মে সুইমিং পুলে যাইনি৷ সবাই সাঁতার কাটলেও আমি বাসায় বসে থাকতাম৷ তখন যেতে ইচ্ছে করে নি৷ আজ বাইরে বেরোনোর তাগিদ ফিরে এসেছে৷''

লাইপোয়েডিমার রোগী হিসেবে নিনা উলেনব্রক বলেন,  ‘‘নারীরা যাতে আবার বাইরে যাবার সাহস পান, সেই লক্ষ্যে আমরা এমন এক গ্রুপ তৈরি করেছি৷ তাঁরা লজ্জায় নিজেকে লুকিয়ে না রেখে, স্টকিং ও ব্যথা সত্ত্বেও নিজের সংকোচ ঝেড়ে ফেলে যাতে সমব্যথীদের সঙ্গে মিলে আবার আনন্দ করতে পারেন, সেটাই চেয়েছি৷''

তাছাড়া তাঁরা মানুষের মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে চান, যে ওজন কমিয়ে লাইপোয়েডিমা দূর করা যায় না৷ তবে লজ্জার মাত্রা কম নয়৷ নিনা বলেন, ‘‘মানতেই হবে, যে বডি শেমিং বা শরীরের কারণে অপবাদের প্রবণতা সত্যি বেশি৷ তাছাড়া ব্যথার কারণে আসলেই দমে যেতে হয়৷ সকালে ঘুম থেকে উঠলে ব্যথা, রাতে শোবার সময় ব্যথা৷ ফলে সব সময়ে ক্লান্ত লাগে৷''

লিম্ফ্যাটিক ড্রেনেজ কিছুটা আরাম দিতে পারে৷ নিনা উলেনব্রক সপ্তাহে দু'বার বিশেষ ধরনের মাসাজ করান৷ নিনা বলেন, ‘‘সোমবার সাধারণত লিম্ফ্যাটিক ড্রেনেজ করাই৷ অথবা বৃহস্পতিবার৷ এমন দিনে সত্যি অনেক ভালো থাকি৷''

পাঁচ বছর ধরে নিনা উলেনব্রক লাইপোয়েডিমার বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছেন৷ কিন্তু সেই রোগ তাঁর সারা জীবনের গতি-প্রকৃতি স্থির করে দেবে, তিনি আর এমনটা চান না৷

আন্দ্রেয়া ভাল্টার/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান