মোগাদিশু থেকে হঠে যেতে বাধ্য হল আল শাবাব মিলিশিয়া
৬ আগস্ট ২০১১রাজনৈতিক কায়দা, নাকি সামরিক নতুন কোন পন্থা? কীভাবে বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করা সম্ভব, তা এই মুহূর্তে বোঝা যাচ্ছে না৷ বোঝার কোন উপায়ও নেই৷ তবুও সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট শেখ শরিফ আহমেদ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, রাজধানী মোগাদিশুতে চলতি সরকারি সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াইতে পর্যদুস্ত হয়ে রাতভর ট্রাকে করে যাবতীয় আল শাবাব বিদ্রোহী শহর ছেড়ে পালিয়েছে৷
শুক্রবার রাতে বেশ দীর্ঘসময় ধরে বন্দুকের শব্দ শোনা গেছে মোগাদিশুতে৷ সেনাবাহিনীর সঙ্গে আল শাবাব বাহিনীর লড়াইয়েরই শব্দ সেটা বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ তারপর আল শাবাবের বিদ্রোহীদের ট্রাক বোঝাই হয়ে যেতে দেখা যায়৷ আল শাবাবের তরফে অবশ্য এই লড়াই বা তার ফলাফল নিয়ে কোন মন্তব্য করা হয়নি৷ বলা হয়েছে, রাজধানীর কিছু অংশের দখল ত্যাগ করে তাদের এই চলে যাওয়াটা সামরিক কায়দা মাত্র৷
সামরিক কায়দাই হোক বা অন্য কিছু, রাজধানী মোগাদিশুর কিছু অঞ্চল তো বটেই, খরা আর দারিদ্রপীড়িত সোমালিয়ার মধ্য এবং দক্ষিণাঞ্চলের কিছু এলাকা বিদ্রোহীদের দখলে থাকার ফলে সেসব জায়গায় ত্রাণসামগ্রী পৌঁছাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আন্তর্জাতিক ত্রাণসংস্থাগুলিকে৷ আল শাবাবের তরফে কিছু নামজাদা আন্তর্জাতিক ত্রাণসংস্থাকে আবার নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় খরার শিকার হওয়া মানুষদের কাছে ত্রাণ, ওষুধপত্র এবং পানীয় জল সরবরাহ করার কাজ বন্ধ রয়েছে বেশ কিছুদিন৷ অথচ পরিস্থতি ক্রমশই আরও গোলমেলে হয়ে উঠছে সোমালিয়ায়৷
ফলে রাজধানী থেকে আল শাবাবের দলবল পাততাড়ি গুটানোয় বিষয়টিকে আশার চোখে দেখছে প্রশাসন৷ সাংবাদিক সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট শেখ শরিফ আহমেদ সোমালিয়ার সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি আমিসম শান্তিরক্ষীবাহিনীদেরও ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই দুই বাহিনীর কারণেই সোমালিয়ার শত্রু আল শাবাব বাহিনীকে রাজধানী থেকে তাড়ানো গেছে৷
তবে স্থানীয় এক রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আল কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী আল শাবাবের মুখপাত্র আলি মহাম্মদ রেগে -র দাবি, রাজধানী থেকে সরে গেলেও দেশের অন্যান্য অংশে, যেখানে যেখানে আল শাবাবের জোর খুঁটি রয়েছে, সেখান থেকে হঠে যাওয়ার কোন প্রশ্নই নেই৷
প্রতিবেদন : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: জাহিদুল হক