মেয়েদের বিশ্বকাপের তারকারা
জাপানকে উড়িয়ে তৃতীয়বারের মতো মহিলাদের ফুটবল বিশ্বকাপ জিতল যুক্তরাষ্ট্র৷ কিন্তু আসরের সেরা তারকা কারা? ছবিঘরে থাকছেন তাঁরা৷
আসরের সেরা কার্লি লয়েড
এ আসরে চারটি ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় তিনি৷ শেষ ম্যাচ, অর্থাৎ ফাইনালেরও সেরা কার্লি লয়ড৷ ফাইনালে জাপানকে ৫-২ গোলে বিধ্বস্ত করেছে যুক্তরাষ্ট৷ হ্যাটট্রিক করেছেন তাঁদের চতুর মিডফিল্ডার কার্লি৷ আসর সেরার ‘গোল্ডেন বল’ পুরস্কার তাঁকে দেয়ায় তাই বিস্ময়ের কিছু নেই৷
দ্বিতীয় সেরা আমানডিন
কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্স টাইব্রেকারে হেরে না গেলে আমানডিনের বুদ্ধিদীপ্ত ফুটবল আরো বেশি দেখা যেত৷ ৬ নম্বর জার্সিধারী মিডফিল্ডার অসাধারণ সব পাস এবং বলের ওপর চমৎকার নিয়ন্ত্রণের জন্য সবারই নজর কেড়েছিলেন৷ কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্স হেরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত দুটি ম্যাচে সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন তিনি৷ আসর শেষে তাঁকেই দেয়া হয় দ্বিতীয় সেরার ‘সিলভার বল’ পুরস্কার৷
জাপান-কন্যা
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে জাপানের হয়ে খেলছেন আয়া মিয়ামা৷ বয়স ৩০৷ তারপরও খেলার ধার তেমন কমেনি৷ নইলে এ বয়সে কেউ বিশ্বকাপে তৃতীয় সেরার স্বীকৃতি পায়!
বেশি গোল জার্মানির সেলিয়ার
মোট ৬টি গোল করে আসরের সর্বোচ্চ ‘স্কোরার’ হয়েছেন জার্মানির সেলিয়া সাশিচ৷ সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে দল হেরে যাওয়ায় বিশ্বকাপ আগেভাগেই শেষ হয় তাঁর৷ তবে তাঁর খেলা সবার মনে থাকবে অনেকদিন৷
আবার কার্লি
আসরের সেরা খেলোয়াড় কার্লিও কিন্তু ছ’টি গোলই করেছেন৷ তারপরও জার্মানির সেলিয়ার চেয়ে বেশি মিনিট খেলায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার ‘সিলভার বুট’ দেয়া হয়েছে তাঁকে৷
সেরা গোলরক্ষক হোপ সোলো
এ নিয়ে বিশ্বকাপের দশটি ম্যাচে কোনো গোলই খাননি যুক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষক হোপ সোলো৷ যুক্তরাষ্ট এবার অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে৷ দলের এ সাফল্যে বড় ভূমিকা রাখায় আসরের সেরা গোলরক্ষক হয়েছেন ৩৩ বছর বয়সি এই ফুটবলার৷
সেরা তরুণী খেলোয়াড়
এই পুরস্কারটি যথার্থভাবেই পেয়েছেন স্বাগতিক ক্যানাডার কাদিশা বিউক্যানন৷ ১৯ বছর বয়সি কাদিশা বিশ্বকাপের আগে থেকেই জাতীয় দলের অপরিহার্য সদস্য৷ ক্যানাডার হয়ে এ পর্যন্ত ৪০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন তিনি৷