1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মেয়েকে চাকরি, মন্ত্রীকে সরাতে বললো হাইকোর্ট

১৮ মে ২০২২

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিসভা থেকে পরেশ অধিকারীকে সরিয়ে দেয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে অনুরোধ হাইকোর্টের বিচারপতির। পরেশকে সিবিআই জেরার মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ।

https://p.dw.com/p/4BRkE
কলকাতা হাইকোর্ট।
কলকাতা হাইকোর্ট।ছবি: Jagannath Raul/Dinodia/IMAGO

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, মঙ্গলবার রাত আটটার মধ্যে কলকাতায় সিবিআই অফিসে যেতে হবে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে। সিবিআই তাকে জেরা করবে। কিন্তু মঙ্গলবার পরেশ ছিলেন উত্তরবঙ্গে। রাতে তিনি কলকাতার ট্রেন ধরেন। ফলে সিবিআই অফিসে যাননি তিনি।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, বেনিয়ম করে নিজের মেয়েকে স্কুলে স্কুলে চাকরি  জুটিয়ে দিয়েছেন তিনি। স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ নিয়ে মামলা হাইকোর্টের বিচারাধীন। এই মামলায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিরোধীরা।

পরেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মামলা করেছেন ববিতা সরকার। তিনিও শিক্ষিকার পদে আবেদন জানিয়েছিলেন। সেখানে তালিকায় তিনি ছিলেন ২০ নম্বরে। সেই তালিকা এক নম্বরে পরেশের মেয়ে অঙ্কিতার নাম এসে যাওয়ায় ববিতা ২১ নম্বরে চলে যান বলে তার আইনজীবী আদালতে অভিযোগ করেছেন। এসএসসির চেয়ারম্যান মঙ্গলবার ভার্চুয়াল শুনানিতে বলেন, ববিতা পেয়েছিলেন ৭৭ নম্বর এবং অঙ্কিতা ৬১ নম্বর। পার্সোনালিটি টেস্টে অঙ্কিতা কত নম্বর পেয়েছেন তা তিনি জানাতে পারেননি।

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এরকম একজন প্রার্থীকে কী করে তালিকায় এক নম্বরে আনা হলো, তাকে চাকরি দেয়া হলো তা তিনি বুঝতে পারছেন না। তার নির্দেশ অঙ্কিতা ও পরেশ অধিকারীকে এসএসএসি মামলার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। আর স্বচ্ছ্বতার খাতিরে পরেশকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেয়ার অনুরোধও করেছেন বিচারপতি। তার এই অনুরোধ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের কাছে করেছেন তিনি।

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, সিবিআই অফিসে যেতে হবে পরেশ অধিকারীকে এবং সিবিআই অফিসাররা তাকে জেরা করবেন।

সিবিআই সূত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছে, তারা তিনবার পরেশ অধিকারীকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু সেই ফোন বন্ধ। তারপর তাকে আদালতের নির্দেশের কথা জানিয়ে ই-মেল ও এসএমএস করা হয়েছে।

তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, তিনি আদালতের নির্দেশ নিয়ে কিছু বলবেন না। তবে কোন মন্ত্রী থাকবেন, কে থাকবেন না, তা মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করবেন। তবে কেউ যদি কোনো ভুল করেন, তাহলে আইন তার পথে চলবে।

জিএইচ/এসজি (পিটিআই, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)