মেসি, কোহলিদের চেয়েও এগিয়ে যিনি
২০১৯ সালে আবার ফিফা বর্ষসেরা হয়েছেন মেসি৷ দশকের সেরা টেস্ট ও ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়েছেন বিরাট কোহলি৷ দুজনের খবরই শিরোনাম হয়েছে সারা বিশ্বে৷ কিন্তু সাফল্যে পিছিয়ে না থাকলেও এলিসে পেরিকে নিয়ে একটুও মাতামাতি নেই কেন?
কে এই এলিসে পেরি?
এখন শুধুই ক্রিকেটার৷ অস্ট্রেলিয়ার নারী দলের হয়ে এ পর্যন্ত ৮ টেস্ট খেলে ৭৮ গড়ে করেছেন ৬২৪ রান, ১৮ দশমিক ১৯ গড়ে নিয়েছেন ৩১ উইকেট৷১১২ ওয়ানডেতে ৫২ দশমিক ১০ গড়ে রান ৩ হাজার ২২ রান আর ২৪ দশমিক ২৯ গড়ে উইকেট ১৫২টি৷ টি-টোয়েন্টিতেও হাসে বল-ব্যাট৷ সেখানে ১১১ ম্যাচে ৩০ দশমিক ৫৮ গড়ে এক হাজার ১০১ রান, ১৯ দশমিক ৩৬ গড়ে ১০১ উইকেট ৷তিন ফর্ম্যাটে এমন অলরাউন্ড পারফর্ম্যান্স আছে এমন ক’জন ক্রিকেটারকে চেনেন আপনি?
কিছু অর্জন
২০০৭ সালের ২৭ জুলাই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক৷ তারপর থেকে অনেক কিছুই অর্জন করেছেন৷অস্ট্রেলিয়াকে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন ২০১৩ সালে৷ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে ভূমিকা রেখেছেন তিনবার (২০১২, ২০১৪ ও ২০১৮)৷ চারটি বিশ্বকাপ ট্রফি জয়ে ভূমিকা রাখা ক’জন ক্রিকেটারের নাম জানা আছে আপনার?
স্বীকৃতি
২০১৯ সালে নারীদের বর্ষসেরা টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটার এলিসে পেরি৷ বর্ষসেরা ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলেও তাকে না রেখে পারেনি আইসিসি৷শুধু তাই নয়, বিরাট কোহলির মতো তিনিও সুযোগ পেয়েছেন দশকের সেরা একাদশে৷
যেখানে মেসি, কোহলিদের চেয়ে এগিয়ে
অনেকের মতে ফুটবলে সমকালের সেরা লিওনেল মেসি৷ ক্রিকেটে এই উচ্চতায় অনেকেই রাখতে চান বিরাট কোহলিকে৷ দু’জনের ক্ষেত্রেই বিতর্ক আছে৷ তবে এলিসে পেরির তুলনায় মেসি, কোহলির মতো তারকারা যে এক জায়গায় পিছিয়ে তা নিয়ে কোনো বিতর্কের সুযোগই নেই৷ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ক্রিকেট খেলছেন, একসময় ফুটবলও খেলতেন ২৯ বছর বয়সি এলিসে৷ মেসি, কোহলি এবং আরো অনেকে তা শুধু স্বপ্নেই দেখতে পারবেন!
ফুটবল কেমন খেলতেন?
সিডনির কাছের ওয়ারুঙ্গায় জন্ম নেয়া এলিসে শৈশব থেকেই খেলাধুলাপাগল৷ স্কুল এবং কলেজ পর্যায়ে ক্রিকেট, ফুটবল, রাগবি, টেনিস, অ্যাথলেটিকস, টাচ ফুটবল, এমনকি গলফেও প্রতিভার ঝলক দেখিয়েছেন৷ তবে এক পর্যায়ে ঠিক করলেন শুধু ফুটবল আর ক্রিকেট খেলবেন৷ জাতীয় দলের হয়ে বাঁ পায়ের শটে এমন এক গোল করেছিলেন যা দেখে মুগ্ধ ধারাভাষ্যকারকে বলতে হয়েছিল, ‘‘অস্ট্রেলিয়ার হয়ে যে যত গোল করেছেন, এটি তার মধ্যে সেরা৷’’
ইনজুরিকে ধন্যবাদ!
কিন্তু বড় রকমের ইনজুরিতে পড়ায় অস্ট্রেলিয়ার নারী ফুটবল দল থেকে ছিটকে যেতে হলো৷ তারপর আর শরীরের ওপর ধকল কমানোর সিদ্ধান্ত না নিয়ে পারেননি৷ ফলে ক্রিকেট পেলো পূর্ণ মনযোগ৷ লাভটা দেখাই যাচ্ছে৷ হাতে গোনা কয়েকজন ক্রিকেটারের মতো তার নামও স্থান পেয়েছে দশকের সেরা একাদশে৷