মেলবোর্নে অন্যরকম অস্ট্রেলিয়ার সামনে ইংল্যান্ড
২৫ ডিসেম্বর ২০১০অ্যাডেলেইডে ইংল্যান্ডের কাছে দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস হারের পর এক সময়ের অজেয় অস্ট্রেলিয়ার ছায়া যেন খুঁজে ফিরছিল সবাই৷ অ্যাসেজ ফিরে পাওয়া তো দূরের কথা, নিজ দেশে এবার লজ্জাজনকভাবে সিরিজ হারতে হয় কিনা সেই ধরনের এক আশঙ্কা পেয়ে বসেছিল অস্ট্রেলিয়ার সমর্থকদের মনে৷ কিন্তু পার্থে তৃতীয় টেস্টে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ালো রিকি পন্টিং এর দল৷ বাম হাতি পেসার মিশেল জনসন তাঁর সুইং খুঁজে পেলেন, আর সে সুবাদে অস্ট্রেলিয়া জিতল ২৬৭ রানে৷ আগামীকাল বক্সিং ডেতে মেলবোর্নে তাই একটি জমজমাট লড়াই দেখার আশায় আছেন দর্শকরা৷
সর্বশেষ টেস্ট বাদ দিলে ইংলিশরা এই মুহূর্তে বেশ ভালো খেলছে৷ তাই মেলবোর্ন টেস্টে অসিদের বিরুদ্ধে তারা সহজে ছাড় দেবে না সেটা বলাই বাহুল্য৷ অন্যদিকে এক হিসেবে অসিদের এই ফিরে পাওয়া ক্রিকেটের জন্য বেশ কাজে দিয়েছে৷ কারণ দিন দিন টেস্ট ক্রিকেটে দর্শকের সংখ্যা কমছে৷ কিন্তু পার্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের কারণে মেলবোর্নে বক্সিং ডেতে অনেক দর্শক সমাগমের আশা করছেন আয়োজকরা৷
একদিকে অসিদের অ্যাসেজ ফিরে পাওয়ার লড়াই এবারের সিরিজ৷ কারণ গত সিরিজে ইংল্যান্ডের কাছে তারা ২-১ এ অ্যাসেজ ট্রফি খুইয়েছে৷ তাই বাকি দুই টেস্টে অন্তত একটি জয় এবং ড্র তাদের প্রয়োজন৷ অন্যদিকে ইংলিশদের আপাতত না হারলেই চলবে৷ তাহলে গত দুই যুগে প্রথম তারা অস্ট্রেলিয়ার মাটি থেকে অ্যাসেজ ট্রফি নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবে৷ সেই হিসেবে যেমন একদিকে তাদের বাড়তি সুবিধা রয়েছে তেমনি আবার একটি বাড়তি চাপও রয়েছে৷
এদিকে মেলবোর্নের পিচ এবার স্পিন সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে, অন্তত গ্রাউন্ডসম্যানরা তেমনই ধারণা দিয়েছেন৷ বিগত ২০০৭ সালে শেন ওয়ার্ন অবসর নেওয়ার পর এখনও একজন মানসম্পন্ন স্পিনার খুঁজে বেড়াচ্ছে অস্ট্রেলিয়া৷ তৃতীয় টেস্টে স্পিনার হিসেবে দলে ছিলেন মাইকেল বিয়ার৷ তবে তাঁকে বাদ দিয়ে চার পেসার নিয়ে মূল একাদশ গড়ে পন্টিং এর দল৷ মেলবোর্ন টেস্টেও তিনি জায়গা পাবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে৷ তবে স্পিনারের অভাবটি বেশ ভালোভাবেই টের পাচ্ছেন পন্টিং৷ অন্যদিকে ইংলিশ দলের মূল ভরসা গ্রায়েম সোয়ানের নেতৃত্বে পেস আক্রমনের ওপর৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই