1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মেরু অঞ্চল পরিষদে ভারত

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি২০ মে ২০১৩

মেরু অঞ্চল পরিষদে ভারতকে নেয়া হয়েছে পর্যবেক্ষক সদস্য হিসেবে৷ এর ফলে মেরু প্রদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ ও অন্যান্য কাজকর্মের ব্যবস্থাপনায় ভারত তার বক্তব্য তুলে ধরতে পারবে আরো জোরালোভাবে৷

https://p.dw.com/p/18aKE
ছবি: imago

তেল, গ্যাস ও খনিজ পদার্থের মজুত ভাণ্ডার হিসেবে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক তথা ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম৷

মেরু অঞ্চলে বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র খোলার পাঁচ বছর পর, কূটনৈতিক চেষ্টার পরিণামে মেরু অঞ্চল পরিষদ বা আর্কটিক কাউন্সিলে ভারত তার নিজের জায়গা করে নিল পর্যবেক্ষক সদস্য হিসেবে৷ অন্য আরো পাঁচটি দেশ চীন, জাপান, ইটালি, দক্ষিণ কোরিয়া ও  সিঙ্গাপুরকে এই মর্যাদা দেয়া হয়েছে৷ আটটি স্থায়ী সদস্য দেশের কাউন্সিলে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়৷

ক্যানাডা, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, রাশিয়া, ডেনমার্ক (গ্রিনল্যান্ড), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (আলাস্কা), আইসল্যান্ড ও সুইডেনকে নিয়ে গঠিত আর্টিক কাউন্সিল এই অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন ও তার অভিঘাত, মেরু প্রদেশের পরিবেশ সুরক্ষা, প্রাকৃতিক সম্পদের ধারাবাহিক সদ্বব্যবহার, জীব বৈচিত্র্য, প্রাকৃতিক পারিপার্শ্বকতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে বৈজ্ঞানিক গবেষণা ইত্যাদি ইস্যু নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে৷ যদিও ঐসব সিদ্ধান্তের আইনি বৈধতা সীমিত৷

Spitzbergen 2010
তেল, গ্যাস ও খনিজ পদার্থের মজুত ভাণ্ডার হিসেবে মেরু অঞ্চলের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীমছবি: Irene Quaile

আর্কটিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত ভারতে কাছে গুরুত্বপূর্ণ কেন?  মেরু অঞ্চলে ভারত তার অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক এবং ভূ-রাজনৈতিক উপস্থিতি প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে৷ বিশ্ব রাজনীতির অঙ্গনে যে ভারত ফেলনা নয়, আর্কটিক অঞ্চলেও সেকথা খাটে৷ ৮০-এর দশকে ভারত মেরু অঞ্চলে তার প্রথম বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করে৷ যদিও বড় রকম প্রকল্প হাতে নেয়া সম্ভব হয়নি সীমিত সহায় সম্পদের কারণে৷ তবে আর্থিক বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে সে বাধা কেটে যাবে৷ বৈজ্ঞানিক মেধার দিক থেকে বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দেবার ক্ষমতা রাখে ভারত৷ দিল্লি মনে করে, এই সবের পাশাপাশি  ঐ অঞ্চলে ভারতের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব বাড়বে৷ ভারতের নতুন উদ্যোগ হবে মেরু অঞ্চলকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত রাখা৷

মেরু অঞ্চলকে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে গত বছর জুন মাসে জাতিসংঘের ছত্রছায়ায় অনুষ্ঠিত রিও আর্থ সম্মেলন৷ সেখানে ভারতের পরিবেশ বিজ্ঞানীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন যে, একবিংশ শতাব্দীর শেষে ভূ-তাপ বাড়বে ৩-৪ ডিগ্রি৷ এই উষ্ণায়নের প্রভাব অনুভূত হবে ভারতে, বিশেষ করে উত্তর ভারতে৷ মেরুপ্রদেশের বরফ গললে কার্বন ডাই অক্সাইডের শোষণ ক্ষমতা যাবে কমে৷ ফলে উষ্ণায়ন ক্রমশই বাড়তে থাকবে৷ বাড়বে সমুদ্রের জলস্তর, দেখা দেবে বন্যা৷ বিপন্ন হবে ভারতের কোটি কোটি মানুষের জানমাল৷ মেরু অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার বর্ষার যোগ আছে৷ বর্ষার সঙ্গে যোগ আছে কৃষির৷

চির তুষারাবৃত মেরু এলাকার কিছু অংশ ছাড়া পুরো আর্টিক অঞ্চলের ওপর সার্বভৌম অধিকার কোনো দেশের নেই৷ তুন্দ্রা অঞ্চল ছাড়া গাছপালা বিবর্জিত বিশাল নির্জন এই হিমায়িত এলাকার গড় তাপমাত্রা থাকে হিমাঙ্কের ৪০-৫০ ডিগ্রি নীচে৷ পরিবেশ সুরক্ষা, প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ, মেরু সাগর দিয়ে শিপিং রুট খোলা ইত্যাদি নিয়ে কাউন্সিলের স্থায়ী সদস্য দেশের কয়েক শো বিজ্ঞানী আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করে থাকেন কীভাবে বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধ করা যায়৷ বরফের নীচে জমা মিথেন গ্যাস নির্গমন রোধ করা যায়৷ মিথেন গ্যাস নির্গত হতে পারে মেরু বরফ সংকোচনের ফলে৷ তাতে উষ্ণায়ন বাড়বে দ্রুতগতিতে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য