মেদের সঙ্গে যুদ্ধ সেনাবাহিনীর
২৩ জুলাই ২০১০সৈন্যদের মেদ বেশ চিন্তায় ফেলেছে কর্তৃপক্ষকে৷ এই জন্য তারা জরিপও চালিয়েছে৷ দেখেছে, সৈন্যদের ৬০ শতাংশই সোজা বাংলায় যাকে বলে মোটা৷ আর এর মধ্যে ১৫ শতাংশ আবার চর্বির পাহাড়৷ বেলজিয়ামের বার্তা সংস্থা বেলগা দিয়েছে এই খবর৷ আফগানিস্তানে মোতায়েন ন্যাটো বাহিনীতে বেলজিয়ান সৈন্যও রয়েছে৷ সেখানে লড়তে হচ্ছে তালেবানের বিরুদ্ধে৷ এখন মেদবহুল এই সৈন্য কীভাবে মোকাবেলা করবে জঙ্গি তালেবানদের৷ তাই হুকুম হয়েছে, মেদ ঝরাও৷
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ইনগ্রিড বেক বললেন, ‘‘বাহিনীর কাজই জরুরি অবস্থায়৷ সবই দ্রুত করতে হয়৷ এই কথাটি দমকল বাহিনীর জন্য যেমন খাটে, তেমনি খাটে সেনাবাহিনীর জন্যও৷ সেনাবাহিনী প্রধান ১০ দিন আগে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরেছেন৷ তাই মোটা সৈন্য আর দেখতে চাই না আমরা৷ সবাইকে এক ছাঁচে আনতে হবে৷''
আগামী শরতেই শুরু হতে যাচ্ছে সৈন্যদের মেদ কমানোর শারীরিক কসরত, আর অবশ্যই তা বাধ্যতামূলক৷ নির্মেদ সৈন্য নিয়েই প্রতিরক্ষার কাজটি করতে চায় কর্তৃপক্ষ৷ মেদবহুল সৈন্য নিয়ে বিপদে পড়তে চায় না তারা৷
ন্যাটো দেশগুলোর মধ্যে শুধু যে বেলজিয়ামের সৈন্যরাই মোটা, তা নয়৷ মার্কিন সেনাবাহিনীতে এই হার ৪ দশমিক ৪ শতাংশ৷ শতকরা হিসেবে কম নে হলেও এই সংখ্যা কিন্তু কম নয়, ৬৯ হাজার৷ আর এই তথ্য পেন্টাগনের৷
এদিকে সৈন্যদের মেদ কমানোর পাশাপাশি নির্মেদ হচ্ছে বেলজিয়ামের সেনাবাহিনী৷ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মনে করছে, প্রয়োজনের তুলনায় বাহিনীর আকার বড় হয়ে গেছে৷ তাই ঘোষণা দিয়েছে সৈন্য কমানোর৷ আগামী বছরই ১ হাজার ১৫০ জনকে অবসরে পাঠানো হচ্ছে৷ সৈন্যদের সঙ্গে সঙ্গে কাটছাঁট করা হচ্ছে প্রতিরক্ষা বাজেটেও৷ প্রতিরক্ষায় বরাদ্দ অবশ্য গত দুই বছর থেকেই কমছে৷ দেখা যাচ্ছে, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কোপ বেলজিয়ামে পড়ছে সেনাবাহিনীর ওপরই৷
প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক