মৃতের সংখ্যা বাড়ছে লাহোরে, বাড়ছে বিক্ষোভ
২ সেপ্টেম্বর ২০১০বিভিন্ন সংবাদসংস্থা পাকিস্তানের লাহোর শহরের একাধিক হাসপাতালকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, নিহতের মোট সংখ্যা এখন অন্ততপক্ষে ৩৮৷ এবং সেই সংখ্যা ক্রমশ আরও বাড়ছে৷ বুধবারের বোমা হামলার পর রাতে জানানো হয়েছিল, মোট তিনটি বিস্ফোরণে আহতের সংখ্যা দেড়শো৷ বৃহস্পতিবার সকালের খবর আহতের মোট সংখ্যা তিনশো ছাড়িয়েছে৷ এদের মধ্যে কিছু আহত ব্যক্তি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিত্সার পর বাড়ি চলে গেছেন৷
জার্মান বার্তাসংস্থা ডিপিএ লাহোরের বোমা হামলার পর হতাহতদের উদ্ধারকাজে জড়িত এদি ত্রাণ পরিষেবার সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করে৷ ডিপিএ-র সঙ্গে কথা বলেন এদি-র তরফে ইউনিস ভাট্টি৷ ভাট্টি জানান, নিহতদের মধ্যে তিনটি শিশু, এক পুলিশকর্মী এবং হামলাকারী তিন মানববোমাকে সনাক্ত করা গেছে এ পর্যন্ত৷
এদিকে আল কায়েদার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত সুন্নি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লশকর এ জাংভি আল আলিমি এই হামলার দায় স্বীকার করে নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বৃহস্পতিবার৷ অতীতে এ ধরণের একাধিক হামলা চালাবার অভিযোগ রয়েছে এই জঙ্গি সংগঠনটির বিরুদ্ধে৷ বুধবার লাহোরের রাজপথে শিয়াপন্থীদের একটি শোক মিছিলে মাত্র বিশ মিনিটের মধ্যে পরপর তিনবার বিস্ফোরণ ঘটায় তিন মানববোমা৷ সপ্তম শতকের প্রথম শিয়া ইমাম আলী বিন আবি তালিবের হত্যাদিবসের স্মরণে আয়োজিত এই শোক মিছিলে যোগ দিয়েছিল অন্তত ৩৫ হাজার শিয়াপন্থী৷
ইতিমধ্যে বৃহস্পতিবার শহরের একটি পার্কে বোমা হামলায় নিহত ১৬ জনের মৃতদেহের দাফন অনুষ্ঠানে যোগ দেন কয়েকশো শিয়াপন্থী৷ বুধবারের বোমা হামলার পর বিক্ষুব্ধ জনতা শহরের একটি পুলিশ স্টেশনে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং পুলিশকর্মীদের ওপর হামলা চালায়৷ প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের বিধ্বংসী বন্যার পর লাহোরে এই প্রথম সন্ত্রাসী হামলা শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষকে ক্ষিপ্ত করে তুলেছে৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন