শ্মশানের পাশে দোকান হওয়ার সুবাদে প্রতিদিন বহু শবদেহ দেখতে দেখতে তাঁর হঠাৎ মনে হয়, সচেতনতার অভাবে কত মৃতদেহের সঙ্গে চোখজোড়াও পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়৷ এইসব চোখ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করলে কত দৃষ্টিহীন মানুষ অন্ধকার থেকে আলোয় ফিরতে পারেন! তারপর থেকেই রতন সাধুখানের রোজকার কাজ, শ্মশানে আসা মৃতদেহের ওপর নজর রাখা৷ যদি সংরক্ষণযোগ্য চোখ দেখতে পাওয়া যায়, তা হলে মৃতের আত্মীয়-স্বজনকে বুঝিয়ে সেই কর্নিয়া সংগ্রহের ব্যবস্থা করা৷ আঞ্চলিক চক্ষু ব্যাংকে সেই কর্নিয়া সংরক্ষণের জন্য পাঠানো৷ সবাই যে রতনবাবুর প্রস্তাবে রাজি হন, তা নয়৷ আবার অনেকে বুঝতে পারেন, রাজি হয়ে যান৷ এভাবেই ৩০০ জোড়ার বেশি চোখ সংগ্রহ করতে পেরেছেন রতন সাধুখান৷ এখন তাঁর একটি সংগঠনও আছে, যার সদস্যরা মরণোত্তর চক্ষুদানের আবশ্যিকতা সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করেন৷ ওঁরা এখন চেষ্টা করছেন, কর্নিয়া প্রতিস্থাপনের কাজটা যদি জেলার সদর হাসপাতালগুলিতেও শুরু করা যায়৷ তা হলে আরও বেশি সংখ্যক দৃষ্টিহীন মানুষকে জীবনের আলোয় ফেরাতে পারবেন ওঁরা৷