মুজাহিদকে সেফ হোমে জিজ্ঞাসাবাদ, আইনজীবীর অভিযোগ
৮ মে ২০১১হান্নান যা বললেন
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদকে মুক্তিযুদ্ধকালে তার ভূমিকা নিয়ে ধানমণ্ডির সেফ হোমে আজ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে৷ ট্রাইব্যুনালকে বরাদ্দ দেয়া ধানমণ্ডির একটি বাড়ি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ব্যবহার করছে তদন্ত দল, একেই সেফ হোম বলা হচ্ছে৷ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সদস্যরা আজ সকাল ১০টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন৷ তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়কারী আবদুল হান্নান খান উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ নিজেকে বাঁচিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন৷ তবে তিনি অনেক কিছু স্বীকার করেছেন৷ তার কাছ থেকে যে তথ্যই পাওয়া যাক তা যাচাই বাছাই করে দেখা হবে৷
তাজুলের বক্তব্য
তবে মুজাহিদের আইনজীবী এডভোকেট তাজুল ইসলাম টেলিফোনে ডয়চে ভেলেকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় মুজাহিদকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে৷ এ অভিযোগ লিখিত আকারে ট্রাইব্যুনালে জমাও দিয়েছেন তিনি৷ এডভোকেট তাজুল বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কী কথা হয়েছে তা আইনজীবীদেরও জানতে দেয়া হচ্ছে না৷ কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তারা মিডিয়ার কাছে বলে দিচ্ছেন৷ এটা আইনের লংঘন৷ তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি আগে সেফ হোমে জিজ্ঞাসাবাদ করা জামায়াতের আমীর মতিউর রহমান নিজামী কিছুই স্বীকার করেননি৷ অথচ তদন্ত কর্মকর্তা মিডিয়ার কাছে বলেছেন, তিনি গণহত্যার কথা স্বীকার করেছেন৷ এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের কাছে কিছু নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে৷ এডভোকেট তাজুলের অভিযোগ জোর করে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছে৷
রবিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুজাহিদকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে সকাল পৌনে ৯টার দিকে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সেফ হোমে নেয়া হয়৷ এর আগে গত ৫ই মে জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে সেফ হোমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷
এছাড়া সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ১০ই মে এবং দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ১২ই মে জিজ্ঞাসাবাদ করার দিন নির্ধারণ রয়েছে৷ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত ১৩ই এপ্রিল জামায়াতে ইসলামীর তিন নেতাকে এবং ১৯ এপ্রিল সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে সরকারের বরাদ্দ করা ধানমণ্ডির বাড়িতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তদন্ত সংস্থাকে অনুমতি দেয়৷
প্রতিবেদন: সমীর কুমার দে,ঢাকা
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম