1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সরব বান কি মুন

১৬ অক্টোবর ২০১০

আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় মিয়ানমারের নির্বাচনের আগেই সরব হয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন৷ তিনি মিয়ানমারের সামরিক প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কারারুদ্ধ নেত্রী অং সান সুকির মুক্তির জন্য৷

https://p.dw.com/p/PfTu
UN Generalsekretär Ban Ki Moon
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনছবি: picture-alliance/ dpa

মুনের নতুন আহ্বানের প্রেক্ষাপট

আগামী ৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচন৷ এর আগে দেশটিতে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯০ সালে৷ সেখানে বিজয়ী হয়েছিলেন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির নেত্রী অং সান সুকি৷ কিন্তু তখন সামরিক সরকার তাকে ক্ষমতা নিতে দেয়নি৷ বরং গত দুই দশকের বেশিরভাগ সময় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এই নেত্রী কাটিয়েছেন কারাগারে৷ গত বছরের জুলাই মাসে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন এক বিরল সফরে যান মিয়ানমারে৷ সেই সময় মিয়ানমারের সামরিক সরকার তাঁকে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দেশটিতে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির ব্যাপারে৷ তো সেই পরিবেশ কতটুকু তৈরি হয়েছে তা নিয়েই জাতিসংঘ মহাসচিব সরব হয়েছেন৷

নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে অসন্তোষ

শুক্রবার বান কি মুন যে বিবৃতি দিয়েছেন, তাতে মনে হচ্ছে যে মিয়ানমারের নির্বাচনী পরিবেশ সম্পর্কে তিনি এখনও সন্তুষ্ট নন৷ অন্যদিকে তাঁর সফরের পর মিয়ানমার সরকার যে কয়েকটি ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে সেগুলোকেও সমর্থন করেছেন তিনি৷ যেমন, গত সেপ্টেম্বর মাসে জান্তা সরকার ১৩০ জনেরও বেশি রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে৷ তবে বান কি মুন অভিযোগ করে বলেছেন যে মিয়ানমার প্রশাসন তাঁকে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা বাস্তবায়নে ধীরগতি অবলম্বন করছেন৷ বিশেষ করে অং সান সুকি সহ যেসব রাজনৈতিক বন্দী এখনও কারাগারে আটক রয়েছেন, তাদের নির্বাচনের আগেই মুক্তি দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি৷ উল্লেখ্য, আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য এখন পর্যন্ত ৪২টি দল নাম লিখিয়েছে৷ কিন্তু অং সান সুকির দল এনএলডি সহ ১০টি রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে না৷

Myanmar Burma Aung San Suu Kyi
অং সান সুকিছবি: picture alliance/dpa

আলোচনার চাপ

এটা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কূটনৈতিক চালাচালি অব্যাহত রয়েছে৷ আলোচনার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিব তাঁর বিশেষ দূত ভিজয় নামবিয়ারকে মিয়ানমারে পাঠাতে চাচ্ছেন৷ কিন্তু মিয়ানমার প্রশাসন এই মুহুর্তে তাঁকে সফরের অনুমতি দিতে চাচ্ছে না৷ তারা জানিয়েছে, জাতিসংঘের দূতকে নির্বাচনের পরে আসার অনুমতি দেওয়া হবে৷ এটা নিয়ে হতাশাও প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন৷ তিনি এজন্য মিয়ানমারের সরকারের ওপর চাপ দেওয়ার জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান