1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলায় বড় কোনো বাধা নেই

৫ জুন ২০১৮

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের তথ্য-প্রমাণ হাজির করলে আইসিসি মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে পারে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা৷

https://p.dw.com/p/2yyDQ
Bangladesch Myanmar - Grenzgebiet Rohingya - Flüchtlinge
ছবি: Getty Images/AFP/T. Mustafa

মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের যারা বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে,  আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) সেইসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে পারে বলে জানিয়েছেন আইসিসি'র এক সাবেক আইনজীবী৷

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ', অ্যাকশন এইড এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস বিভাগের যৌথ আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব আলী চৌধুরী সেনেট ভবনে সোমবার এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়৷

ইয়ুগোশ্লাভিয়া ট্রাইব্যুনালের সাবেক আইনজীবী কেট ভিগনেসভারান ঐ আন্তর্জাতিক সেমিনারে বলেছেন, ‘‘রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে, কারণ, তাদের সম্প্রদায়ের মানুষকে হত্যা করা হয়েছে এবং ভয়াবহ রকমের নির্যাতন করা হয়েছে৷''

একটি এলাকা থেকে যখন অন্য একটি রাষ্ট্রে যেতে মানুষ বাধ্য হয়, সেসময় আইসিসি আর্টিকেল ১২'র দুই এর ‘এ' ধারা অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে৷

তিনি আরও বলেন, ‘‘যে দেশের মানুষকে অন্য দেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে ও তা চলমান আছে, সেক্ষেত্রে সেই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মামলা করা যেতে পারে৷''  ‘অ্যাকাউন্টিবিলেটি: দ্য আইসিসি অ্যান্ড রোহিঙ্গা ক্রাইসিস' শীর্ষক একটি সেমিনারে তিনি একথা বলেন৷ 

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত মে মাসের ৯ তারিখে বাংলাদেশে একটি চিঠি পাঠায়, যেখানে জানতে চাওয়া হয়, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠনের বিষয়ে বাংলাদেশ মিয়ানমারের আইনগত ব্যবস্থা নিতে রাজি কিনা৷ কিন্তু সে ব্যাপারে বাংলাদেশ এখনো কোনো জবাব দেয়নি৷

গত বছরের ২৫শে আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালায়৷ তখন থেকে এ পর্যন্ত সাত লাখেরও বেশি মানুষ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে৷ কত মানুষ মারা গেছে, কত নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে এবং কত গ্রাম যে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে তার সঠিক হিসাব এখনো কারও কাছে নেই৷

সেমিনারে উপস্থিত আইন বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ এবং মানবাধিকার কর্মীরা বাংলাদেশ সরকারকেরোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের বিষয়ে তাদের পর্যবেক্ষণ আইসিসি'র কাছে পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন৷

বাংলাদেশের হাইকোর্টের বিচারক সৈয়দ রিফাত আহমেদ বলেন, ‘‘বাংলাদেশের উচিত স্টেট পার্টি হিসেবে তার পর্যবেক্ষণ এবং তথ্য প্রমাণাদি আইসিসিতে পাঠানো৷''

কেট বলেন, ৭০ এর দশক থেকেই  মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে৷ কিন্তু সেসব অপরাধের দায়ভার কেউ নেয়নি৷ তিনি আরও বলেন, ‘‘রাখাইনের পরিস্থিতির উন্নতি না করে যদি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করা হয়, তাহলে তাদের উপর নির্যাতন অব্যাহত থাকবে৷'' তিনি জানান, বাংলাদেশ যদি সিদ্ধান্ত নেয় মামলা করার, তাহলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত তাতে সায় দেবে৷

এপিবি/এসিবি (ডেইলি স্টার)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান