1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমারের নতুন দল এনডিএফ, আর্দশ সু চি

১০ জুলাই ২০১০

নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মিয়ানমারের গণতন্ত্র কন্যা অং সাং সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি বা এনএলডি বিলুপ্ত করা হয়েছিল গত মে মাসে, নির্বাচনী আইনের ফাঁক-ফোঁকর দিয়ে৷

https://p.dw.com/p/OFus
সু চিছবি: AP

সে দেশের সামরিক জান্তা সরকার বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচনের ঘোষণা দেবার সঙ্গে সঙ্গে আইন করে দেয় যে, নির্বাচন করতে হলে দলগুলোকে নিবন্ধনভুক্ত হতে হবে৷ কিন্তু সু চির দল সেই ঘোষিত সময়সীমার মধ্যে নিজেদের নিবন্ধন করতে পারেনি৷ আর তাঁরাও বয়কট করে নির্বাচন৷ ফলে নিষিদ্ধ সেই দল৷

কিন্তু গণতন্ত্রের পথের যাত্রা কি তাই থেমে যাবে? ইয়াঙ্গুন থেকে প্রাপ্ত সংবাদে জানা গেলো, সুচির দলের কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় তরুণ নেতা নতুন এক দল গঠন করেছেন৷ এই দলের নাম ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট, সংক্ষেপে এনডিএফ৷ আইন অনুসারে, অং সাং সু চি সহ বেশ কয়েকজন নেতা দলে থাকতে পারবেন না৷ তাই তাঁদেরকে বাদ দিয়েই নতুন এই দল৷ তবে নতুন দল গঠন করা এবং এর নতুন কর্ণধারের নাম ঘোষণা করা হলেও দলটির স্পষ্ট বক্তব্য, আর তাহলো, সু চিই হচ্ছেন তাঁদের ‘আইডল'৷ গণতন্ত্রের জন্য সু চি যা চাইছেন, নতুন দল সেই কর্মসূচিই বাস্তবায়ন করবে৷

Indonesia Myanmar Plakat fordert Freilassung von Suu Kyi
ছবি: AP

এনডিএফের প্রধান ড. থান নাইন৷ তাঁর কথায় সুচি হচ্ছেন গণতন্ত্রের মানস কন্যা৷ আমরা আমাদের নতুন এই দল গঠন করেছি, কারণ আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই৷ একই সঙ্গে আমরা দেশের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানে নিজেরা কাজ করবো, বললেন এই নেতা৷

ইতিমধ্যে এই দলটি নির্বাচন অফিস থেকে তালিভুক্তি পেয়েছে৷ শুক্রবারই তাদের এই অনুমতি মেলে৷ আর শনিবারই দলের নেতারা নিজেরা জানিয়ে দিলেন সু চির প্রতি তাদের আনুগত্যের কথা৷

সু চির দল এনএলডির জন্ম হয়েছিল ১৯৮৮ সালে৷ এরপর জান্তা সরকারের নিয়ন্ত্রণেই ১৯৯০ সালে দলটি দেশের সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক ভোটে বিজয় লাভ করে৷ কিন্তু তাঁরা ক্ষমতায় যেতে পারেননি৷ বরঞ্চ একের এক মামলা দিয়ে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সাং সু চি-কে৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: জাহিদুল হক