1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিশরে বিক্ষোভ অব্যাহত, নিহত শতাধিক

৩০ জানুয়ারি ২০১১

প্রবল গণবিক্ষোভের মুখে খানিকটা ছাড় দিতে শুরু করেছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক৷ এই প্রথম একজন ভাইস-প্রেসিডেন্ট নিয়োগ দিয়েছেন তিনি৷ তবে সেদেশের উত্তেজনা কিছুমাত্র কমেনি, নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০০৷

https://p.dw.com/p/107IW
মিশরে অব্যাহত বিক্ষোভছবি: picture-alliance/dpa

মিশরের সর্বশেষ পরিস্থিতি

মিশরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক এবং বিরোধী বিক্ষোভকারীরা নিজ নিজ অবস্থানে অনঢ় রয়েছেন৷ বিক্ষোভকারীরা মোবারকের পদত্যাগ চান, কিন্তু তাতে রাজি নন বর্ষীয়ান এই নেতা৷ প্রতিবাদ-বিক্ষোভ তাই অব্যাহত আছে৷ গত কয়েকদিনের সরকার বিরোধী আন্দোলনে সেদেশে নিহত হয়েছে কমপক্ষে ১০০ জন৷ সর্বশেষ দাঙ্গায় কায়রোর দক্ষিণে বেনি সুয়ের শহরে প্রাণ হারায় ২২ জন৷ বিক্ষোভকারীরা একটি পুলিশ স্টেশনে হামলার চেষ্টা করলে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে৷ এছাড়া কারফিউ অমান্য করে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে৷

Hosni Mubarak und Omar Suleiman NO FLASH
মিশরের গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান ওমর সুলাইমানকে ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছেছবি: dapd

নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট

মিশরে শান্তি ফিরিয়ে আনতে অবশ্য কিছু রাজনৈতিক সংস্কার শুরু করেছেন মোবারক৷ শনিবার তিনি একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট নিয়োগ দেন৷ সেদেশের গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান ওমর সুলাইমানকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ সুলাইমান আন্তর্জাতিকভাবে বেশ সুপরিচিত এক ব্যক্তিত্ব৷

এই নিয়োগে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, মোবারক মিশরের রাজনৈতিক এবং সামাজিক পরিবর্তনের গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন৷ সেইসঙ্গে তিনি বুঝতে পারছেন, তাঁর ৩০ বছরের শাসনকাল সম্ভবত আর বেশিদিন স্থায়ী হবে না৷ গণবিক্ষোভ ছাড়াও শারীরিকভাবে অসুস্থ মোবারক, তাছাড়া তাঁর বয়সও ৮২ বছর৷ সবমিলিয়ে এক ক্রান্তিকালে পৌঁছে গেছেন তিনি৷

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

যে কোন কিছুর বিনিময়ে হলেও জনগণের উপর শক্তি প্রয়োগ থেকে মিশরকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা৷ এক যৌথ বিবৃতিতে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজি মোবারককে শক্তি প্রয়োগ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে অবশ্য মিশরকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, বিক্ষোভকারীদের প্রতি নমনীয় না হলে আন্তর্জাতিক সাহায্য কমিয়ে দেওয়া হবে৷

Flash-Galerie Ägypten Kairo Proteste
বেশ সাহসী হয়ে উঠেছে প্রতিবাদকারীরাছবি: picture-alliance/dpa

মিশরের ভবিষ্যত

মোবারক কিংবা নবনিযুক্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট সুলাইমান কেউই মিশরে তিউনিসিয়ার মত সরকার পতন দেখতে চান না৷ তাছাড়া শনিবার ভোররাতের টেলিভিশন ভাষণেও বেশ দৃঢ়তা দেখিয়েছেন মোবারক৷ যদিও তাতে বিক্ষোভ খুব একটা কমেনি৷ তবে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্টের মতো দুর্বল কোন অভিব্যক্তি মোবারকের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মিশরের সেনাবাহিনী কি চায়?

বিশেষজ্ঞদের মতে, সুলাইমানকে নিয়োগের অর্থ হচ্ছে, মোবারক ক্ষমতা ছাড়লেও মিশরের অবস্থা আগের মতোই থাকবে৷ সেক্ষেত্রে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করা নয়, বরং বর্তমান পরিস্থিতির উপসংহারই চাচ্ছে সেনাবাহিনী৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য