মিশরের কবরস্থানে নতুন মমি আবিষ্কার
কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে কবরস্থানে খোঁড়াখুড়ির পর ২ হাজার বছরের পুরোনো, একেবারে ছোঁয়া হয়নি এমন ১৭টি মমি উদ্ধার করা হয়েছে৷
গ্রিক-রোমান যুগে পৌঁছে যাওয়া
মমিগুলোর সাথে পাওয়া এই নির্দশনগুলো আপনাকে সেই আমলে নিয়ে যাবে, যখন আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট মিশর জয় করেছিলেন৷ মিনেয়া শহরের নাইল উপত্যকার কাছের এই এলাকায় এই প্রথম মানব মমি আবিষ্কৃত হলো৷
বেশিরভাগই অক্ষত
আট মিটার গভীর এই কবরস্থানটির ভেতরে ৬টি কফিন পাওয়া গেছে, এর মধ্যে দু’টি মাটি দিয়ে তৈরি৷ এগুলোর মধ্যে দুটি ‘পেপিরি’ পাওয়া গেছে, যাতে কিছু লেখা ছিল৷ এছাড়া কিছু মটকাও পাওয়া গেছে৷ ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো কোনো পুরোহিত বা কর্মকর্তাদের মমি৷
আরও আসছে
কবরস্থানটির অন্য প্রান্তে আরও কিছু মমি’র পা ও পায়ের পাতা দেখা যাচ্ছে৷ তাই ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে আরও অনেক মমি থাকতে পারে৷ খোঁড়াখুড়ি এখন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে৷
পূর্ব পুরুষদের বার্তা
২০১১ সালে আরব বসন্তের পর মিশরের পর্যটন খাতে ধস নামে, যা অর্থনৈতিক ব্যবস্থাতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে৷ অ্যান্টিক বা প্রাচীন জিনিসপত্রের মন্ত্রণালয় বলছে, সম্প্রতি পাওয়া এসব মমি দেখে মনে হচ্ছে যেন পূর্বপুরুষরা বোঝাতে চাচ্ছেন, পর্যটন ব্যবস্থা আবারও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসে৷
বিশেষ কিছু আবিষ্কারের ধারাবাহিকতা
সম্প্রতি মিশরজুড়েই বেশ কিছু স্থানে পুরোনো কিছু জিনিস উদ্ধার হয়েছে৷ এপ্রিলে লুক্সর শহরে সাড়ে তিন হাজার বছরের একটি পুরোনো সমাধি থেকে ৮ টি মমি উদ্ধার করা হয়েছে৷
সমাহিত শরীর
সালাহ আল খোলি, কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইজিপ্টোলজির এই অধ্যাপক এই খোঁড়াখুড়ির তত্ত্বাবধান করছেন৷ তিনি জানালেন, মমিগুলো’র সাথে আরও কিছু জিনিস পাওয়া গেছে৷
অনেক মমি
খোলি জানালেন, এই প্রথম মধ্য মিশরের মাটি খুঁড়ে এত মমি পাওয়া গেলো৷ ধারণা করা হচ্ছে এখানে ৩২টি মমি রয়েছে৷ নবজাতক, শিশু ও নারীর মমি রয়েছে এখানে৷