মিউনিখে সূর্যমুখী তেলের বিনিময়ে বিয়ার
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে মহাসংকটে পড়েছে মিউনিখের একটি পাব৷ সূর্যমুখী তেলের অভাবে তাদের শ্নিৎসেল বিক্রি বন্ধ হওয়ার জোগাড়! অগত্যা তেল সংগ্রহের জন্য দারুণ এক বুদ্ধি খাটিয়েছে তারা৷ বিস্তারিত ছবিঘরে...
তেল-সংকট
রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোয় ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মতো জার্মানিতেও দেখা দিয়েছে ভোজ্য তেলের তীব্র সংকট৷ যুদ্ধের প্রায় পাঁচ মাস হতে চললো, অথচ এখনো অনেক সুপারমার্কেটে গিয়ে দেখা যায় ভোজ্য তেলের তাক একেবারে ফাঁকা৷ আবার তেল আছে এমন বেশিরভাগ সুপারমার্কেট তেল বিক্রি করে খুব হিসেব করে৷ তাদের এক কথা- একজন ক্রেতা এক লিটার তেলই কিনতে পারবেন, তার বেশি নয়৷
গিজিঙ্গার ব্রিউয়ারির মহাবিপদ
জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মিউনিখের পাব গিজিঙ্গার ব্রিউয়ারির অন্যতম আকর্ষণ শ্নিৎসেল৷ পান করতে আসা বেশির ভাগ ক্রেতাই পছন্দের পানীয়ের সঙ্গে সাধারণত বিশেষ ধরনের এই কাটলেট খেতে চান৷ শ্নিৎসেল ভাজতে তেল লাগে৷ আর গিজিঙ্গারের শ্নিৎসেল ভাজা হয় সূর্যমুখী তেল দিয়ে৷ কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়া আর ইউক্রেন থেকে ওই তেল আসা একেবারে বন্ধ হয়ে গেল৷
চাহিদা প্রচুর, সুযোগ অল্প
তেল-সংকট তাদের কী অবস্থায় ফেলেছিল তা জানাতে গিয়ে গিজিঙ্গার ব্রিউয়ারের ম্যানেজার এরিক হফমান বলেন, ‘‘ পর্যাপ্ত তেল পাওয়া এখন খুবই কঠিন৷ বিশেষ করে সপ্তাহে যখন অন্তত ৩০ লিটার তেল দরকার, তখন টেনেটুনে ১৫লিটার পেলে কি আর কাজ চলে?’’
তেল দাও, বিয়ার নাও...
বিশ্বের মোট চাহিদার আশিভাগ সূর্যমুখী তেলই আসে রাশিয়া আর ইউক্রেন থেকে৷ সেখানে শান্তি না ফিরলে তো তেলের সংকট থাকবেই৷ তাহলে শ্নিৎসেল বিক্রি করে ব্যবসা চালু রাখা যায় কিভাবে? একটাই উপায়- বিয়ারের বিনিময়ে তেল কেনো৷ ব্যাস, গিজিঙ্গার ব্রিউয়ারির সামনে দেয়া হলো বিজ্ঞাপন- এখানে এক লিটার তেল দিলে এক লিটার বিয়ার পাবেন৷
এক অফার, শতভাগ সাফল্য
মিউনিখে এখন এক লিটার সূর্যমুখী তেলের দাম সাড়ে চার ইউরো আর এক লিটার বিয়ারের দাম সাত ইউরো৷ এ অবস্থায় টাকা দিয়ে বিয়ার কিনলে তো বিশাল ‘ক্ষতি’! তাই অনেক মানুষই আসছেন তেলের বোতল নিয়ে৷ মরিৎস বালার জন্মদিনের পার্টির জন্য ৮০ লিটার বিয়ার কিনেছেন৷ কিভাবে জানেন? কয়েকদিন আগে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে ইউক্রেনে গিয়েছিলেন৷ ফেরার সময় সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন ৮০ লিটার সূর্যমুখী তেল৷