মা হওয়ার পরও সফল কয়েকজন অ্যাথলিট
মা হওয়ার পর অনেক অ্যাথলিটের ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়৷ কিন্তু এমন কয়েকজন অ্যাথলিট আছেন যাঁরা বিরতি থেকে ফিরেও সফল হয়েছেন৷
শেলি অ্যান ফ্রেজার-প্রাইস
দোহায় অ্যাথলেটিক্সের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ১০০ মিটারে সোনা জিতেছেন জ্যামাইকার ফ্রেজার-প্রাইস৷ ছেলে জিয়নের সঙ্গে সেই আনন্দ ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন তিনি৷ এর আগেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ও অলিম্পিকে সোনা জিতেছেন ফ্রেজার-প্রাইস৷ মা হওয়ার পর আবার খেলায় ফেরা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘এটা একটা দীর্ঘ যাত্রা ছিল৷ শুধু শারীরিকভাবে নয়, মানসিকভাবেও৷’’
অ্যালিসন ফেলিক্স
দোহায় অ্যাথলেটিক্সের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ৪x৪০০ রিলে রেসের সোনা জিতেছে যুক্তরাষ্ট্র৷ সেই দলের সদস্য ছিলেন ফেলিক্স৷ গত নভেম্বরে তিনি মা হয়েছেন৷ তিনি মোট ১২টি বিশ্ব শিরোপা জয় করেছেন৷ গর্ভবতী হওয়ার কারণে খেলাধুলা থেকে বিরতি নিতে হওয়ায় স্পন্সর নাইকি তাঁর আয় ৭০ ভাগ কমিয়ে দেয়ার প্রস্তাব করেছিল৷ ছয়বারের অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন ফেলিক্সের স্পন্সর এখন অন্য আরেকটি কোম্পানি৷
সেরেনা উইলিয়ামস
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে সিজার অপারেশনের মাধ্যমে মেয়ে অ্যালেক্সিস অলিম্পিয়ার জন্মের সময় তাঁর জীবন সংকটাপন্ন হয়ে উঠেছিল বলে জানিয়েছিলেন সেরেনা৷ ১৩ মাস পর টেনিসে ফিরে এখন পর্যন্ত চারটি গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে উঠেছেন তিনি৷ অবশ্য জিততে পারেননি একটিও৷
মার্গারেট কোর্ট
কোর্টের ২৪টি গ্র্যান্ড স্লামের রেকর্ড ছোঁয়ার চেষ্টায় আছেন সেরেনা উইলিয়ামস৷ মার্গারেট যখন খেলতেন তখন তাঁর তিন সন্তান ছিল৷ চতুর্থবার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর তিনি অবসর নেন৷
ম্যারিট বিয়র্গেন
২০১৫ সালের জুনে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন নরওয়ের এই অ্যাথলিট৷ সেই সময়ই তিনি ২০১৭ সালের নর্ডিক ওয়ার্ল্ড স্কি চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন৷ সেই কথামতো ফিরে চারটি শিরোপা জিতেছিলেন৷ এরপর ২০১৮ সালে শীতকালীন অলিম্পিকেও সোনা জেতেন বিয়র্গেন৷
ক্রিস্টিন আর্মস্ট্রং
অ্যামেরিকান এই সাইক্লিস্টকে ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকে সোনা জয়ের পর ছেলের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে৷ এর আগ ২০০৮ ও পরে ২০১৬ সালেও সোনা জেতেন তিনি৷
হাইকে ড্রেশলার
১৯৮৯ সালে ছেলে টোনির জন্মের আগে পূর্ব জার্মানির হয়ে লং জাম্পে বিশ্ব ও ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতেছিলেন ড্রেশলার৷ সন্তান জন্মের পর ১৯৯২ ও ২০০০ সালের অলিম্পিকে জার্মানির হয়ে লং জাম্পে স্বর্ণ জেতেন তিনি৷
কিম ক্লাইস্টার্স
২০০৫ সালে ইউএস ওপেন জেতা ক্লাইস্টার্স ২০০৭ সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে অবসর নিয়েছিলেন৷ ২০০৯ সালে মেয়ের জন্ম দেয়ার পর আবার টেনিসে ফিরে আরো তিনটি গ্র্যান্ড স্লাম জিতে ২০১২ সালে দ্বিতীয়বারের মতো অবসরে যান তিনি৷ ২০২০ সালে আবারও টেনিসে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি৷