1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মালয়েশিয়ার উন্নয়নের স্বরূপ নিয়ে কার্টুন ‘দেয়ার ইউ গো’

১৩ সেপ্টেম্বর ২০১০

অল্প সময়ে দ্রুত উন্নতি করেছিল মালয়েশিয়া৷ এর অথর্নৈতিক মেরুদণ্ডটি মাহাথির মোহাম্মদের সময়ে কল্পনাতীত দৃঢ়তা পায়৷ কিন্তু ঐ গণ উন্নয়নের জোয়ারে যে সব মানুষ আশ্রয়হীন হয়েছিল, এবার তার কথাই জানালো কার্টুনের বই ‘দেয়ার ইউ গো’৷

https://p.dw.com/p/PAvp
Pulau, Penang, Malaysia, মালয়েশিয়া, উন্নয়ন, কার্টুন, দেয়ার ইউ গো,
মালয়েশিয়ার পুলাউ সৈকতছবি: AP

সোমবার এই চোখা বিদ্রুপের কার্টুন বইটি মালয়েশিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে৷ সারভাইভ্যাল ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি সংস্থা এর উদ্যোক্তা৷ পৃথিবীর সব আদিবাসীরা, বলা চলে মালয়েশিয়ার সারাওয়াক প্রদেশের পেনান থেকে শুরু করে আমাজনের ইণ্ডিয়ানরা পর্যন্ত সবাই-ই সারভাইবালকে জানিয়েছে, কীভাবে এই বইয়ের কার্টুনগুলো তাদের জীবনে উন্নয়নের অভিজ্ঞতাকে চমৎকারভাবে তুলে ধরেছে৷ একজন আদিবাসী কর্মী যিনি পেনান-এ কাজ করছেন, জানিয়েছেন - ‘দেয়ার ইউ গো' বইটিতে যা লেখা রয়েছে বাস্তবে আসলে সারাওয়াকে তেমনটিই ঘটেছিল৷

সারভাইভ্যাল ‘দেয়ার ইউ গো' বইটি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছে৷ পৌঁছে দিয়েছে সারাওয়াকের মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও৷ এছাড়া, মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ পদে যারা আছেন এমনকি এই কার্টুন বইটি তারা মালয়েশিয়ার সবগুলো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠাগারগুলোতেও পাঠিয়ে দিয়েছে৷

অধিকাংশ ক্ষেত্রে উন্নয়ন তত্ত্ব কীভাবে আদিবাসীদের তাদের শেকড় থেকে উচ্ছেদকে বৈধতার পোষাক পরায়, সেটিই এই বইয়ের কার্টুনে চিত্রিত হয়েছে৷ জন নামে পেনানের আরেক আদিবাসী সারভাইভ্যালকে জানিয়েছেন, বইটি আদতেই এখানকার বাস্তবতা তুলে ধরেছে, যখন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মানুষ-জন এখানে আমাদের বন ধ্বংস করতে এসেছিল৷ তাদের বক্তব্য ছিল, তারা কাজ করছে প্রগতির জন্য! আর এই বন উজাড় করাটাই ছিল প্রগতি৷ সরকার বলেছে, এই-ই হচ্ছে উন্নয়ন৷ আমরা এই উন্নয়নকে থামাতে পারিনি৷ কিন্তু শেষপর্যন্ত তারা যা করেছে তা হল আমাদের বনগুলো ধ্বংস করা৷ আর এরপর তারা চলে গেছে৷

এদিকে ‘দেয়ার ইউ গো' বইটি সম্পর্কে যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার বলেছেন, আদিবাসীদের কথা বিবেচনায় রেখে এই বইটি উন্নয়ন সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে তুলে ধরেছে৷

আয়ারল্যান্ডের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সাবেক হাই কমিশনার মেরি রবিনসন খুব চমৎকার করে বলেছেন, ‘এই ছোট্ট বইটিতে অনেক বড় একটি বার্তা রয়েছে৷' আসলেও যেন তাই, উন্নয়নের ক্ষেত্রে চিরকালই যেন এইসব ব্রাত্যজনের কন্ঠ আর তাদের জীবন অশ্রুত আর লোকচক্ষুর আড়ালে শেষপযর্ন্ত অদৃশ্যই রয়ে যায়৷

প্রতিবেদন: হুমায়ূন রেজা

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ