1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মার্থার বইয়ের দোকানে মেয়েদের সাথে ওবামা

২১ আগস্ট ২০১০

গল্ফ, পরিবার নিয়ে একটু খোলা হাওয়া গায়ে লাগানো, শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশ – এমন পরিকল্পনা নিয়েই দশ দিনের অবকাশ শুরু করেছিলেন বারাক ওবামা৷ তবে তার সাথে যোগ হলো কিছু নতুন বইয়ের জগতে ডুব দেওয়ার কর্মও৷

https://p.dw.com/p/Ot3g
মালিয়া, সাশা ও মিশেল – ওবামা পরিবারের ৩ নারীই অত্যন্ত জনপ্রিয়ছবি: AP

ম্যাসাচুসেটস এর মার্থা অবকাশ কেন্দ্র৷ ছোট্ট দ্বীপ৷ সামুদ্রিক হাওয়ার দোলায় আন্দোলিত সবুজ বাগিচা৷ মনোরম সমুদ্র সৈকত৷ বাস্কেটবল কোর্ট৷ সুইমিং পুল৷ এমন সাজানো গোছানো স্বপ্নময় মার্থায় গেছেন মার্কিন ফার্স্ট ফ্যামিলি৷ এর আগেই হোয়াইট হাউসের তথ্য উপ-সচিব বিল বার্টন বেশ মজা করেই বলেছেন, ‘‘স্বভাবতই প্রেসিডেন্ট তাঁর ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার জন্য কিছুটা সময় ব্যয় করতে যাচ্ছেন৷''

ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা, কন্যা মালিয়া এবং সাশাকে নিয়ে বারাক ওবামা উঠেছেন ব্লু হিরন ফার্ম-এ৷ তবে শুক্রবার হুট করেই হাজির হলেন মার্থার বিখ্যাত বইয়ের দোকানে৷ পরনে জিন্স এবং পোলো শার্ট৷ মাথায় বেসবল টুপি৷ চোখে সানগ্লাস৷ আর পায়ে একজোড়া চটি৷ সাথে আদরের দুই মেয়ে ১২ বছরের মালিয়া আর ৯ বছরের সাশা৷

Obamas Töchter als Spielzeugpuppen
মালিয়া ও সাশা’র আদলে তৈরি পুতুলও বিক্রি হচ্ছেছবি: AP

গাড়ি থেকে নেমেই সোজা ‘বাঞ্চ অফ গ্রেপস' নামের সেই বিখ্যাত দোকানে ঢোকেন তিন তারকা ক্রেতা৷ ওবামার আগেই এই গ্রন্থশালায় নাকি পা দিয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনও৷ যাহোক, মেয়েদের নিয়ে ওবামার আগমনে বেশ সাড়া পড়ে যায়৷ পথচারীরা একটু থমকেই দাঁড়ান৷ কয়েক পলক ঘুরিয়ে নেন বাঞ্চ অব গ্রেপসের দিকে৷ প্রায় ২০ মিনিট পর দুটো সাদা ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে আসেন ওবামা৷ গাড়িতে ওঠার আগে উপস্থিত জনতার দিকে একটু হাত নেড়ে মুচকি হাসি ছুঁড়ে দেন মার্কিন নেতা৷

হোয়াইট হাউস সূত্রের খবর, শুক্রবার কেনা বইগুলোর মধ্যে একটি হলো ‘ফ্রিডম'৷ আমেরিকার জাতীয় গ্রন্থ পদক বিজয়ী জনাথন ফ্রানজেন-এর লেখা সর্বশেষ উপন্যাস এটি৷ মেয়েদের জন্য ওবামা কিনেছেন ২০ শতকের মার্কিন ক্ল্যাসিকস৷ জন স্টাইনবেকের ‘দ্য রেড পনি' এবং হার্পার লি'র ‘টু কিল এ মকিংবার্ড'৷ তবে বইয়ের দোকানি জানালেন, খুব শীঘ্রই বাজারে আসবে এমন একটি বইয়ের একটি সৌজন্য সংখ্যা বিনামূল্যে পেয়েছেন ওবামা৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন