1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্পের কর সংস্কার অনুমোদিত

২০ ডিসেম্বর ২০১৭

যুক্তরাষ্ট্রের কর প্রথায় গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় রদবদল ইতিপূর্বেই হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে গৃহীত হয় ও আজ বুধবার চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/2pgiB
226/5000
Senatsmehrheitsführer McConnell, begleitet von Sen. Gardner, Senator Barrasso, Senator Hatch, Sen. Thune und Sen. Cornyn, spricht über die Tax Cuts und Jobs Acts auf der Pressekonferenz in Washington
ছবি: Reuters/A.P.Bernstein

বুধবার সকালে মার্কিন সেনেটে ৫১ বনাম ৪৮ ভোটে বিলটি গৃহীত হয়৷ ঘটনাটিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, কেননা কর সংস্কার সংক্রান্ত বিলটি যদি সত্যিই চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয়, তাহলে সেটা হবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ও প্রণীত প্রথম বড় আইন৷

সেনেটে পার্টি লাইন অনুযায়ী ভোটে সব ডেমোক্র্যাট সদস্যরাই বিলটির বিরুদ্ধে ভোট দেন৷ ট্রাম্পের কর সংস্কারের ফলে কোম্পানিগুলির কর্পোরেট ট্যাক্স এক ধাক্কায় ৩৫ শতাংশ থেকে কমে ২১ শতাংশ দাঁড়াবে৷ এছাড়া মার্কিন কোম্পানিরা বিদেশ থেকে তাদের জামানত দেশে ফিরিয়ে আনলে সেই কর ১৫ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে যাবে৷ ব্যক্তিগত আয়করের ক্ষেত্রে সবচেয়ে কম আয়ের মানুষেরা বছরে ৬০ ডলার কম আয়কর দেবার আশা করতে পারেন; অপরদিকে বছরে সাড়ে সাত লাখ ডলারের বেশি আয়ের ব্যক্তিবর্গের আয়কর প্রায় ৫১,০০০ ডলার কমে যাবে – মিডিয়া জুড়ে এই সব হিসাবনিকাশ করে দেখা ও দেখানো হচ্ছে৷ মোট কথা, করব্যবস্থায় এই রদবদলের ফলে বিত্তশালীরাই বেশি সুবিধা পাবে, বলে আগে থেকেই সমালোচনা শোনা যাচ্ছিল; বিশেষ করে ডেমোক্র্যাট তরফে সেই সমালোচনা ভবিষ্যতে তাদের নির্বাচনি প্রচার অভিযানে একটি বড় অস্ত্র হয়ে দাঁড়াবে, কারণ ট্রাম্পের এই বিল যে সাধারণ মার্কিন জনগণের অত্যন্ত অপ্রিয়, তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷

ভোটাভুটি ও ট্রাম্পের টুইট 

ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স তাঁর মধ্যপ্রাচ্য যাত্রা স্থগিত রেখে সেনেট চেম্বারে সভাপতিত্ব করেছেন, বিলের পক্ষে ও বিপক্ষে সমান ভোট পড়লে যাতে তিনি তাঁর নিজের ভোটটি দিয়ে বিলটিকে জেতাতে পারেন৷ বিল পাস হওয়ার পরে পেন্সই সরব হর্ষধ্বনির মধ্যে ঘোষণা করেন: ‘‘কর ছাঁটাই ও কর্মসংস্থান আইনটি পাস হয়েছে৷ এর স্বল্প পরেই ট্রাম্প টুইট করেন: ‘‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনেট সদ্য ইতিহাসের বৃহত্তম কর ছাঁটাই ও সংস্কার বিলটি পাস করেছে৷ ‘অতি খারাপ ব্যক্তিগত সনদ' (ওবামাকেয়ার) বাতিল৷''

হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের রিপাবলিকানরা মঙ্গলবারেই ২২৭ বনাম ২০৩ ভোটে কর সংস্কার বিলটি পাস করেন – কোনো ডেমোক্র্যাটই বিলটির পক্ষে ভোট দেননি – কিন্তু বিলটিকে সংশোধনের জন্য ফেরত পাঠাতে হয়, কেননা দৃশ্যত বিলটি সেনেটের নিয়মাবলী ভঙ্গ করেছে৷ সেনেটের নিয়মাবলীর যে তিনটি বিধিকে কেন্দ্র করে আপত্তি, সেগুলির বিষয়বস্তু হলো বাড়িতে ছেলেমেয়েদের শিক্ষা সংক্রান্ত সেভিংস অ্যাকাউন্ট ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে দান৷ সেনেটে পাস হওয়ার পর বিলটি আজ বুধবারেই হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে চূড়ান্ত ভোটের জন্য ফেরত যাবে৷ ভ্রম সংশোধনের পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেড় ট্রিলিয়ন ডলার অঙ্কের কর সংস্কার বাস্তব হয়ে ওঠার পথে, বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে৷

২০১৮ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এই কর হ্রাস কার্যকরি হবে৷ তবে বড় বড় কোম্পানিদের ক্ষেত্রে কর্পোরেট ট্যাক্স স্থায়ীভাবে কমলেও, ব্যক্তিবর্গের জন্য কর হ্রাসের মেয়াদ ২০২৬ সাল অবধি, সেনেটের নিয়মাবলীতে যেমন নির্দিষ্ট করা আছে৷

ইউরোপীয় অর্থমন্ত্রীরা চিন্তিত

গত সপ্তাহে ইউরোপের পাঁচটি বৃহত্তম অর্থনীতি, অর্থাৎ জার্মান, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, স্পেন ও ইটালির অর্থমন্ত্রীবর্গ মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি (অর্থমন্ত্রী) স্টিফেন মেনুশিনকে একটি উদ্বেগপূর্ণ পত্র লেখেন এবং মার্কিন কংগ্রেস ও সেনেটের সব উচ্চপদস্থ রিপাবলিকান রাজনীতিকদের কাছে তার কপি পাঠান৷

পত্রের বক্তব্য ছিল, যুক্তরাষ্ট্রে কর হ্রাস সংক্রান্ত বিলটি যদি তার বর্তমান খসড়ায় অনুমোদিত হয়, তাহলে তা বড় বড় কোম্পানিগুলির (‘কর্পোরেশন'-এর) কাছ থেকে ন্যায্য কর আদায়ের বিশ্বব্যাপী প্রথা ভঙ্গ করবে৷ এই বিল ‘‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিবিধ কর আদায় সংক্রান্ত চুক্তিসমূহের বিরুদ্ধে যাবে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বড় ধরনের গোলযোগ সৃষ্টির ঝুঁকি থাকবে'', বলে অর্থমন্ত্রীরা তাদের চিঠিতে মন্তব্য করেছেন৷

এসি/ডিজি (এপি, রয়টার্স)