মার্কিন কংগ্রেসের তরুণতম সদস্য কারা?
মার্কিন কংগ্রেসের একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে এক ৩০ বছর বয়সি নবাগত ডেমোক্র্যাট এমন একটি আসন দখল করতে চলেছেন, যা দশকের পর দশক ধরে রিপাবলিকানদের পেটোয়া ছিল৷ নবাগতের নাম: জন অসফ৷
যুক্তরাষ্ট্রের তরুণতম কংগ্রেস সদস্য?
৩০ বছর বয়সি ডেমোক্র্যাট জন অসফ সদ্য জর্জিয়ার ষষ্ঠ কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্টে অনুষ্ঠিত বিশেষ নির্বাচনে ৪৮ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন৷ হাউসের দীর্ঘকালীন রিপাবলিকান সদস্য টম প্রাইস ট্রাম্পের মন্ত্রীসভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিযুক্ত হবার পর তাঁর আসনটির জন্য নির্বাচনের আয়োজন করা হয়৷
জুন মাসে নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্যায়
জুনের রান-অফ নির্বাচনে অসফ-এর প্রতিপক্ষ হবেন ৫৫ বছর বয়সি ক্যারেন হ্যান্ডেল, যিনি নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ে ২০ শতাংশের কিছু কম ভোট পেয়েছেন৷ সারা দেশের প্রগতিশীল আন্দোলনকারীরা তথ্যচিত্র নির্মাতা অসফ-কে সমর্থন জানিয়েছেন রিপাবলিকানদের বাঁধাধরা এলাকাটিকে ডেমোক্র্যাটদের তাঁবে আনার আশায়৷
তরুণতম হাউস রিপ্রেজেন্টেটিভ: এলিস স্টেফানিক
আজ ৩২ বছর বয়সি এলিস স্টেফানিক যখন ২০১৪ সালে প্রথম নির্বাচিত হন, তখন তাঁর বয়স ছিল ৩০ – অর্থাৎ তিনি ছিলেন কংগ্রেসের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত তরুণতম মহিলা৷ স্টেফানিক হাউসের মধ্যমপন্থি রিপাবলিকানদের নিয়ে গঠিত ‘টিউসডে গ্রুপ’ নামের একটি গোষ্ঠীর নেতাদের মধ্যে পড়েন৷ সম্প্রতি তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মুসলিমদের উপর যাত্রানিষেধের বিরোধিতা করেছেন৷
হাউসের তরুণতম ডেমোক্র্যাট সদস্য: টুলসি গ্যাবার্ড
৩৬ বছর বয়সি টুলসি গ্যাবার্ড হাওয়াই দ্বীপের মানুষ৷ প্রথম নির্বাচিত হন ২০১৩ সালে৷ ২০১৬ সালের প্রাইমারিতে বার্নি স্যান্ডার্সকে সমর্থন করেছিলেন৷ গ্যাবার্ডকে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রগতিশীল অংশের অঙ্গ বলে মনে করা হয়৷ অপরদিকে তিনি উদ্বাস্তুদের যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসন রোখার জন্য কনজারভেটিভদের আনা একটি প্রস্তাবকে সমর্থন করে নিজের দলেই সমালোচনার সম্মুখীন হন৷
তরুণতম সেনেটর: টম কটন
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের তরুণতম সেনেটর হলেন আরকানসাস থেকে আসা ৩৯ বছর বয়সি রিপাবলিকান টম কটন৷ ২০১৫ সালে কটন প্রথমবার নির্বাচিত হন৷ তিনি গোঁড়া রক্ষণশীল হিসেবে পরিচিত৷ হার্ভার্ডের স্নাতক কটন রিপাবলিকান দলের দুই অংশেরই প্রিয়পাত্র: দলের নেতৃবর্গের কাছে তাঁর বংশপরিচয় ও শিক্ষাদীক্ষা যেমন প্রিয়, ‘টি পার্টি’ সমর্থকরা তেমন তাঁর মতাদর্শের বিশুদ্ধতা পছন্দ করেন৷
চল্লিশের নীচে সেনেটর একমাত্র কটন
কলরাডোর রিপাবলিকান ৪২ বছর বয়সি করি গার্ডনার (ছবিতে ডানদিকে) ও কনেক্টিকাটের ডেমোক্র্যাট ৪৩ বছর বয়সি ক্রিস মার্ফি হলেন বর্তমানে দ্বিতীয় ও তৃতীয় তরুণতম সেনেটর৷ হাউসের মিলেনিয়াল সদস্য স্টেফানিকের মতো গার্ডনারও মধ্যমপন্থি কনজারভেটিভ এবং তিনিও ট্রাম্পের ‘যাত্রা নিষেধের’ সমালোচনা করেছেন৷ মার্ফি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত আইনের প্রবক্তা হিসেবে নাম কিনেছেন৷
কেনেডি যুক্তরাষ্ট্রের তরুণতম প্রেসিডেন্ট ছিলেন না
যদিও তাঁর ‘তারুণ্যের’ কথা সকলেরই স্মরণ করেন৷ বলতে কি, কেনেডি ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় তরুণতম প্রেসিডেন্ট৷ ১৯০১ সালে থিওডোর ‘টেডি’ রুজভেল্ট যখন প্রেসিডেন্ট পদাভিষিক্ত হন, তখন তাঁর বয়স ছিল ৪২ – এবং কেনেডির চেয়ে ন’মাস কম৷ অপরদিকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে বেশি বয়সে – ৭০ বছরে – আর কেউ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হননি৷
সবসময়ে বয়স মেনে চলা হয়নি
কংগ্রেসের সর্বকালের তরুণতম সদস্য হলেন উইলিয়াম সি. সি. ক্লেবোর্ন, যিনি ১৭৯৭ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে হাউসের সদস্য হন৷ হাউসের সদস্য হবার জন্য গোড়ায় ২১ বছর বয়স হলেই চলত, আজ অন্তত ২৫ বছর হওয়া চাই৷ সেনেটর হওয়ার ন্যূনতম বয়স চিরকালই ৩০ ছিল, যদিও ঊনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে চারজন সেনেটরকে ২৮-২৯ বছর বয়সেই সেনেটের সদস্য করা হয়৷
অন্যান্য দেশে টিনেজার হলেও আপত্তি নেই
বহু দেশে ভোটাধিকার পাবার বয়স হল ১৮, কাজেই ঐ বয়সে প্রার্থীও হওয়া যায়৷ তবে জাতীয় সংসদে নির্বাচিত হওয়া টিনেজারদের সংখ্যা খুব বেশি নয়: (ছবিতে) আন্টন আবেলে ১৮ বছর বয়সে সংসদসদস্য নির্বাচিত হন, সেটা ছিল সুইডেনে, ২০১০ সালে; ২০১১ সালে উগান্ডা এবং ক্যানাডাতেও ১৯ বছর বয়সি সাংসদরা নির্বাচিত হয়েছেন৷