1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মারিউপোলের দখল নিয়ে সংঘাত

১৮ এপ্রিল ২০২২

ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণ প্রান্ত কব্জা করতে তীব্র হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া৷ প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি মোকাবিলা চালিয়ে যাবার অঙ্গীকার করেছেন৷ তিনি ভারি অস্ত্র ও আরও আর্থিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/4A3V3
Ukraine Krieg | Lage in Mariupol
ছবি: Sergei Bobylev/TASS/dpa/picture alliance

রাশিয়া আত্মসমর্পণের সময়সীমা স্থির করে দিলেও মারিউপোল শহরে ইউক্রেনের সৈন্যরা হাল ছাড়তে প্রস্তুত নয়৷ রাশিয়া তাদের ‘নিশ্চিহ্ন' করে দেবার হুমকি সত্ত্বেও নিজস্ব অবস্থানে অটল রয়েছে সৈন্যরা৷ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বহিরাগতদের মোকাবিলার পথই বেছে নিয়েছেন৷ তিনি মারিউপোলের সুরক্ষার জন্য সব রকম চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন৷ সে জন্য অবিলম্বে ভারি অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য আন্তর্জাতিক মহলের কাছে আবেদন জানিয়েছেন জেলেনস্কি৷ তিনি বলেন, প্রতিবার সরবরাহে বিলম্ব হলেই রাশিয়া সেটাকে ইউক্রেনের মানুষের প্রাণহানির অনুমতি হিসেবে দেখছে৷ দেশের উত্তর পূর্ব অঞ্চল ও দক্ষিণে মারিউপোল শহরে রাশিয়ার হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি৷ সেইসঙ্গে রাজধানী কিয়েভসহ দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার সত্ত্বেও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া৷

রোববার জেলেনস্কি বলেন, এটা ইচ্ছাকৃত সন্ত্রাস ছাড়া কিছুই নয়৷ তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিরীহ মানুষের বাসস্থানের উপর গোলাগুলি চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেন৷ রাশিয়া অবশ্য নিরীহ মানুষের উপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে চলেছে৷ মস্কোর মতে, নিপীড়নের ভূয়া প্রমাণ তুলে ধরে ইউক্রেন আসলে শান্তি আলোচনা বানচাল করার চেষ্টা করছে৷

মারিউপোল শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েও সংশয় রয়েছে৷ রাশিয়া সেই শহর দখলের দাবি করলেই ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস ইশ্মিয়াল রোববার বলেন, তার দেশের সৈন্যরা সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে৷ অ্যামেরিকার এবিসি নেটওয়ার্কের কাছে তিনি বলেন, শহরের কিছু অংশ এখনো ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে৷ উল্লেখ্য, মারিউপোল রাশিয়ার দখলে চলে এলে পূবে ডনবাস থেকে দক্ষিণে ক্রাইমিয়া পর্যন্ত অঞ্চলের উপর অবিচ্ছিন্ন নিয়ন্ত্রণ পাবে মস্কো৷ ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন সদস্য দেশগুলির উদ্দেশে ইউক্রেনকে দ্রুত অস্ত্র সরবরাহের আবেদন জানিয়েছেন৷

কোনো এক সময়ে যুদ্ধ শেষ হলে ইউক্রেনের পুনর্গঠন নিয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে সে দেশের সরকার৷ প্রধানমন্ত্রী ইশ্মিয়াল বলেন, বর্তমানে প্রতি মাসে বাজেট ঘাটতির মাত্রা প্রায় ৫০০ কোটি ডলার৷ এই অবস্থায় আরও আন্তর্জাতিক সহায়তার আবেদন করেছেন তিনি৷ প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, যে তিনি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে আর্থিক সহায়তা ও যুদ্ধপরবর্তী পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা করেছেন৷ আইএমএফ-এর প্রধান ক্রিস্টিনা গেয়র্গিয়েভা সবরকম সম্ভাব্য সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন বলে তিনি জানান৷

প্রেসি়ডেন্ট জেলেনস্তকি ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের লক্ষ্যে ব্রাসেলসের প্রশ্নপত্র পূরণ করে স্বাক্ষর করেছেন বলেও জানিয়েছেন৷ ফলে ইইউ সদস্যপদের পথে প্রথম আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ নিলো ইউক্রেন৷

 

এসবি/কেএম (রয়টার্স, ডিপিএ)