মারিউপল-- যুদ্ধের আগে এবং পরে
দক্ষিণ ইউক্রেনের মারিউপল একসময় ছিল পর্যটকদের প্রিয় জায়গা। যুদ্ধের পর সেই বন্দর-শহর কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
বন্দর এলাকা
প্রায় চার লাখ ৪০ হাজার মানুষের বাস রাশিয়া লাগোয়া এই বন্দর শহরে। এখন সেখান থেকে অধিকাংশ বেসামরিক মানুষ পালিয়েছেন। সমুদ্রের ধারে বন্দর এলাকায় একসময় মানুষ বিশ্রাম নিতে যেতেন। পর্যটকদের বিশেষ আকর্ষণ ছিল এই বন্দর এবং সমুদ্র।
বর্তমান ছবি
সেই বন্দরের বর্তমান চেহারা। আক্ষরিক অর্থেই 'মরা বন্দর'। যুদ্ধে বিধ্বস্ত বন্দরে জলে ভাসছে ভাঙা জাহাজ। মানুষ পালাচ্ছে ওই অঞ্চল থেকে। এখনো বহু মানুষ আটকে আছেন বলে আশঙ্কা।
সিটি সেন্টারের ছবি
২০১৯ সালের ২০ জুন তোলা হয়েছিল এই ছবি। সিটি সেন্টার অঞ্চলে ফোয়ারের জলে স্নান করছে ছোটরা। ইউক্রেনের পরিচিত ছবি। আর তার পিছনে দেখা যাচ্ছে চার্চ।
বর্তমান ছবি
ওই একই চার্চের সামনের ছবি। এ বছর ১ এপ্রিল তোলা হয়েছে ছবিটি। যুদ্ধ বিধ্বস্ত শহরের রাস্তায় ছড়িয়ে আছে বারুদ। যে রাস্তার ধারে সকলে আনন্দ করতেন, এখন সেখানে আতঙ্ক।
প্রাদেশিক থিয়েটার
দনেৎস্ক অ্যাকাডেমিক রিজিওনাল ড্রামা থিয়েটারের সামনের ছবি্। ২০১৪ সালে তোলা এই ছবিতে এক প্রতিবাদীকে দেখা যাচ্ছে। রাশিয়া ক্রাইমিয়া দখল করার পরে ইউক্রেনের পতাকা হাতে তিনি প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
বর্তমান ছবি
সেই থিয়েটার এখন ধ্বংসস্তূপ। ১৬ মার্চ রাশিয়ার বোমারু বিমান এখানে বোমাবর্ষণ করে। অন্তত এক হাজার মানুষ এর ভিতরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। বহু মানুষের মৃত্যু হয়। যার মধ্যে বহু নারী ও শিশু আছে।
স্টিল প্লান্ট
অ্যাজোভস্টাল স্টিল প্লান্টের ছবি। ইউরোপের অন্যতম বড় স্টিল প্লান্ট এটি। ২০১৭ সালে এই ছবিটি তোলা হয়েছিল।
বর্তমান ছবি
স্টিল প্লান্ট আর চেনা যাচ্ছে না। ভিতরে ইউক্রেনের যোদ্ধারা। বাইরে ঘিরে রেখেছে রাশিয়ার সেনা। এই অঞ্চলে প্রায় এক লাখ বেসামরিক মানুষ আটকে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
মারিউপলের রাস্তা
২০১৮ সালে তোলা মারিউপলের রাস্তা। ঝকঝকে রাস্তায় আশঙ্কার চিহ্নমাত্র নেই।
বর্তমান ছবি
সেই রাস্তার অবস্থা এখন এমন। রাস্তা বলে মনেই হয় না। যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।