মারাকেশের ক্যাফেতে জঙ্গি বিস্ফোরণ, নিহত ১৪
২৯ এপ্রিল ২০১১কোথায় কখন কীভাবে বিস্ফোরণ
মরক্বোর মারাকেশ শহরের কেন্দ্রস্থলে নামজাদা ক্যাফেটির নাম আরগানা৷ সচরাচর দুপুরের পর থেকে সেখানে তরুণ প্রজন্মের ভিড় বাড়তে থাকে৷ আসে বিদেশিরাও৷ বৃহস্পতিবার দুপুরের সরগরম সময়ে সম্ভবত ক্যাফের ভিতরে বসে থাকা এক মানবোমা নিজের শরীরে বাঁধা বোমায় বিস্ফোরণ ঘটায়৷ মুহূর্তে মারাকেশের কেন্দ্রস্থল জেমা এল ফানা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷ আরগানা ক্যাফেতে বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে বেশ কিছু দেহ সম্পূর্ণ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা৷ বিস্ফোরণে নিহতের মোট সংখ্যা সর্বশেষ খবরে ১৪ জন৷ প্রথমে বলা হয়েছিল ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ আহত বিশজন৷ তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷
নিহতদের মধ্যে ছয়জনই ফরাসি নাগরিক!
এমন খবর শোনা গেছে গতকাল রাত পর্যন্ত৷ আসলে নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই যে বিদেশি, তা জানিয়েছে পুলিশ স্বয়ং৷ কিন্তু তারা কে কোন দেশের নাগরিক তার তালিকা এখনও জানা যায়নি৷ প্রাথমিক আশঙ্কায় হাসপাতাল সূত্রের খবরে বলা হয়েছে, সম্ভবত নিহতদের ছয়জন ফরাসি নাগরিক৷ প্যারিস সূত্র এ বিষয়ে কোন কথা বলেনি৷ তবে লন্ডন থেকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রক জানাচ্ছে, নিহতদের মধ্যে অন্তত একজন ব্রিটিশ নাগরিক আছেন বলে তাদের কাছে খবর রয়েছে৷ সেই মোতাবেক তারা খোঁজখবর চালাচ্ছে৷
হামলার নেপথ্যে? ছবি এখনও ঝাপসা
বিস্ফোরণ কারা ঘটাল তা এখনও পর্যন্ত খুব স্পষ্ট নয়৷ যদিও আল কায়েদা বা তাদের ঘনিষ্ঠ কোন ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনকেই সন্দেহ করা হচ্ছে৷ কোন সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী এখনও কোনরকম দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয়নি৷ শেষবার ক্যাসাব্ল্যাঙ্কা শহরে ২০০৩ সালে সন্ত্রাসী বিস্ফোরণে মোট ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল৷ মরক্বোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও কোন পক্ষকে দায়ী করে কোন মন্তব্য করেনি৷ তবে এটি যে সন্ত্রাসী হামলা সে অভিযোগ তুলেছে৷ ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজি টেলিফোনে গতকাল সন্ধ্যাতেই মরক্বোর বাদশা চতুর্থ মহম্মদের সঙ্গে কথা বলেন৷ বাদশা মহম্মদ দ্রুত তদন্তের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন মরক্বোর প্রাক্তন শাসক দেশ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে৷ মারাকেশে গতকাল রাত থেকেই ফরাসি এবং মরক্বোর গোয়েন্দারা তদন্ত শুরু করে দিয়েছেন৷
প্রতিবেদন : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা : সাগর সরওয়ার