1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মানুষের থেরাপিতে প্রাণীর ব্যবহার

৬ জানুয়ারি ২০২২

মানুষের শারীরিক ও মানসিক চাপ কমাতে প্রাণী সহায়তা করতে পারে৷ কুকুর-বিড়াল পুষলে তা প্রায়ই টের পাওয়া যায়৷ বড় আকারে থেরাপির ক্ষেত্রে বন্যপ্রাণীও কাজে লাগানো হয়৷ তবে বিষয়টিকে ঘিরে বিতর্কও কম নেই৷

https://p.dw.com/p/45CYM
USA Medizin Pferd im Krankenhaus Rush University Medical Center in Chicago
প্রতীকী ছবিছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Spencer Green

জার্মানির দক্ষিণ-পশ্চিমে বাডেন ভ্যুর্টেমবার্গ রাজ্যে ছোট্ট এক গ্রামে গাধার সাহায্যে থেরাপি চলছে৷ দুই বছর আগে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা ক্রিস্টিনা আডামের এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়েছিল৷ এক ছাত্র ছুরি নিয়ে তার এক সহকর্মীর উপর হামলা চালিয়েছিল৷ স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ক্রিস্টিনা বলেন, ‘‘আমি শুধু রক্ত দেখেছিলাম৷ ভেবেছিলাম সহকর্মী বোধহয় পড়ে গেছেন৷ দৌড়ে এগিয়ে গেলাম৷ ভাবলাম আমার ক্লাসের বাচ্চারা হয়ত রক্তাক্ত অবস্থায় মরে পড়ে আছে৷''

এই ঘটনার পর তিন বার তিনি শ্রবণশক্তি হারিয়েছিলেন৷ তখন থেকেই তিনি টিনিটাসে ভুগছেন৷ ডাক্তারদের মতে, তার পোস্ট ট্রমাটিক ব্যাধি হয়েছে৷ ক্রিস্টিনা বলেন, ‘‘আমি আর মানুষের প্রতি আস্থা রাখতে পারছিলাম না৷ এমনকি মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ পুরোপুরি ছিন্ন করার কথাও ভাবছিলাম৷''

গাধার শরীর স্পর্শ করে তিনি সুফল পেয়েছিলেন৷ আবার তার মনে আস্থা ফিরে এসেছিল৷ সবটাই কি মনের ভ্রম? একাধিক গবেষণা অনুযায়ী প্রাণীদের সান্নিধ্যে এলে কমপক্ষে জমে থাকা আবেগের বরফ গলতে পারে৷ সাইকোথেরাপিস্ট রাইনার ভোলফার্ট জানান, ‘‘শান্তশিষ্ট কোনো প্রাণীর সংস্পর্শে এলে অক্সিটোসিন, সেরোটোনিন ও ডোপামিন নিঃসৃত হয়৷ যাকে বলে ইতিবাচক হরমোন ককটেল বা মিশ্রণ৷ আমাদের মস্তিষ্কের যে নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্ট্রেস বা মানসিক চাপ সামলানোর দায়িত্ব পালন করে, বাহ্যিক উপলব্ধি বিশ্লেষণ করে, আমাদের সক্রিয় করে, সেই অংশ তখন অনেক শান্ত হয়ে যায়৷''

আজকের এই থেরাপি দেখলে সাদামাটা ওয়াক বা হাঁটার কর্মসূচি মনে হবে৷ কিন্তু থেরাপিস্ট আসলে রোগী ও গাধাকে কঠিন পরিস্থিতির সামনে ফেলছেন৷ অ্যানিমেল অ্যাসিস্টেড থেরাপি বিশেষজ্ঞ বেটিনা মুচলার বলেন, ‘‘গাধার জন্য কোনো সেতু বড় এক চ্যালেঞ্জ৷ চিকন পথের নীচে খরস্রোতা নদী বয়ে যাচ্ছে৷ গাধা স্বেচ্ছায় কখনো এমন সেতু পার করবে না৷ বুদ্ধি খাটিয়ে, আশ্বাস দিয়ে স্পষ্ট লক্ষ্য অনুযায়ী এগিয়ে যেতে হবে৷''

পাকো নামের গাধাটি সেই সেতু চেনে৷ তাই মানুষের সঙ্গে হেঁটে যাচ্ছে৷ কিন্তু ক্রিস্টিয়ান আডাম ও লেও নামের গাধার কাছে জায়গাটা নতুন৷ লেও কি ক্রিস্টিয়ানের পেছন পেছন যাবে? বাস্তবে সেটা সম্ভব হলো!

এমন অবস্থায় প্রাণী কী করবে, সেটা ভিন্ন বিষয়৷ অনেকে তাদের অ্যানিমেল থেরাপিস্ট বলেন৷ রাইনার ভোলফার্ট বলেন, ‘‘কোনো প্রাণী কখনো থেরাপিস্ট হতে পারে না৷ প্রাণী বড়জোর সহকর্মী বা কো-থেরাপিস্ট বা কো-এডুকেটর হতে পারে৷ কারণ, থেরাপিস্ট গোটা থেরাপি প্রক্রিয়া পরিচালনা করেন৷ কোনো প্রাণীর পক্ষে সেটা সম্ভব নয়৷''

রাইনল্যান্ড প্যালেটিনেট রাজ্যে মাদকাসক্তি দূর করার এক কেন্দ্রে প্রাণী ভবঘুরে পুরুষদের ড্রাগ ছাড়া বাঁচতে শেখাচ্ছে৷

ডাগমার স্ট্যোকলে/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য