1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মাদক চোরাকারবারীদের দখলে মেক্সিকো!

২৮ আগস্ট ২০১০

অনেক দেশেরই অনেক সমস্যা থাকে৷ কিন্তু মেক্সিকোর প্রধান সমস্যাটা একটু ভিন্ন৷ মাদক চোরাচালনকারীদের উৎপাত৷ আসলে উৎপাত বলে বিষয়টাকে ছোট করে দেখা হয়৷

https://p.dw.com/p/OyFU
এই বাড়িতেই পাওয়া গেছে ৭২ জনের লাশছবি: AP

কারণ এই চোরাকারবারদের নিয়ে সরকার এতটাই চিন্তিত এবং তারা এতটাই শক্তিশালী যে, সরকারকে রীতিমত তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করতে হয়েছে৷ যার নাম ড্রাগ ওয়ার৷

এই যুদ্ধের শুরু ২০০৬ সালে৷ বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফেলিপে কাল্ডেরন শুরু করেন এটা৷ এই যুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন প্রায় ৪৫ হাজার নিরাপত্তা কর্মী৷ মেক্সিকোতে মাদক চোরাকারবারীরা এতটাই শক্তিশালী যে, সরকার তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করায় তারাও বিভিন্ন সময় হামলা চালিয়ে জবাব দেয়ার চেষ্টা করে৷ এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৮ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়৷ এইতো গতকাল শুক্রবারও প্রায় ১৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে৷

Migranten Mexiko Opfer Drogenbanden
যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে যাওয়ার ট্রেনের অপেক্ষায় হন্ডুরাসের এক নাগরিকছবি: AP

তবে এখনকার আলোচিত ঘটনাটি হচ্ছে, একসঙ্গে ৭২ জন অভিবাসী'র মৃতদেহ উদ্ধার৷ গত মঙ্গলবারের ঘটনা এটি৷ জানা গেছে, তারা মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিক৷ জীবিকার তাগিদে অ্যামেরিকায় যাওয়ার জন্য তারা মেক্সিকোতে এসেছিলেন৷ প্রতিবেশি দেশ হিসেবে অ্যামেরিকা যাওয়ার জন্য মেক্সিকো একটা ভাল পথ৷ প্রতি বছর প্রায় চার লক্ষ লোক এই পথ ব্যবহারের চেষ্টা করে থাকেন৷ জানা গেছে, ঐ ৭২ অভিবাসীকে একটা চোরাকারবারী গ্রুপ তাদের হয়ে কাজ করতে বলেছিল৷ কিন্তু তারা এতে রাজি না হওয়ায় তাদের ঐ পরিণতি হয়৷ হাত ও চোখ বন্ধ করে তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়৷

এই হত্যাকান্ডের তদন্ত করছিলেন যেসব পুলিশ কর্মকর্তা তাদের মধ্যে দুজনকে অপহরণ করে চোরাকারবারীরা৷ পরে শুক্রবার তাদের একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ৷ এছাড়া শুক্রবারই মেক্সিকোর সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি চ্যানেলে এই হত্যাকান্ডের তদন্তের কাজ চলছিল৷ সেসময় সেখানে গাড়ি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়৷ ধারণা করা হচ্ছে এটা চোরাকারবারীদেরই কাজ৷ এছাড়া ট্রাফিক পুলিশের অফিসেও আরেকটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে৷ তবে ঐ দুই ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি৷ এদিকে অভিবাসী হত্যার ঘটনায় মর্মাহত দেশটির প্রেসিডেন্ট কাল্ডেরন৷ তিনি বলেন, এই ঘটনা এটাই প্রমাণ করে যে অপরাধীরা কতটা ভয়ংকর হতে পারে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম