মাছ নয়, প্লাস্টিক ধরছেন জেলেরা
ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে গ্রিসের রয়েছে সবচেয়ে বড় মাছ ধরার বহর৷ সেখানকার জেলেরা ‘ফিসিং ফর লেটার’ নামের এক প্রকল্পের আওতায় এজিয়ান সমুদ্র জঞ্জালমুক্ত করছেন৷
এক অস্বস্থিকর বিস্ময়
জাল খোলার পর মাছের সঙ্গে প্লাস্টিক বর্জ্য দেখছেন জেলেরা৷ গ্রিসের রয়েছে ২৫০টি ট্রলারের বিশাল মাছ ধরার বহর৷ এই বহর সমুদ্রের একটি নির্দিষ্ট গভীরতা অবধি জাল ফেলে মাছ ধরতে পারে৷
‘ফিশিং ফর লেটার’
সমুদ্রে জমা হওয়া জঞ্জাল সাফ করতে ‘ফিশিং ফর লেটার’ প্রকল্পের আওতায় গ্রিসের জেলেদের ব্যবহার করা হচ্ছে৷ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর অবধি এই প্রকল্প পরিচালনা করা হয়৷
দেড় টন জঞ্জাল
প্রকল্পের আওতায় অক্টোবর থেকে এখন অবধি এই জেলার এজিয়ান সমুদ্রের তাদের অংশ থেকে দেড় টন আবর্জনা সাফ করেছে৷ প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্র থেকে সংগ্রহ করতে কাভালা এবং থেসালোনিকি বন্দরের আটটি ট্রলার ব্যবহার করা হচ্ছে৷
সমুদ্রের জন্য আশা
‘ফিশিং ফর লেটার’ প্রকল্পের আওতায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রচলিত চর্চায় পরিবর্তন আনার পাশাপাশি সমুদ্রের তলদেশে জমে থাকা প্লাস্টিক পরিষ্কার করার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ পাশাপাশি এই বিষয়ে মৎস শিল্প সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিও প্রকল্পটির লক্ষ্য৷
প্লাস্টিকের সিংহাসন
সমুদ্রতলের একটি বড় অংশ এখন প্লাস্টিক এবং অন্যান্য বর্জ্যে ঢেকে আছে৷ কখনো কখনো ভাঙা চেয়ারের মতো বড় প্লাস্টিক বর্জ্যেরও সন্ধান মেলে সেখানে৷ এরকম বর্জ্য সামুদ্রিক জীবদের উপর কেমন প্রভাব ফেলছে তা বুঝতে গবেষণা করছেন গবেষকরা৷
নানা রকম আবর্জনা
‘ফিশিং ফর লেটার’-এর প্রধান সমুদ্র বিজ্ঞানী ক্রিস্টিনা কনটাক্সি জেলেদের জালে ধরা পড়া একটি প্লাস্টিক ব্যাগ দেখছেন৷ এমন ব্যাগ, বোতল আর ক্যানই সমুদ্রে বেশি পাওয়া যায়৷ যেসব অঞ্চলে পর্যটক বেশি, সেসব অঞ্চলে এমন আবর্জনাও বেশি থাকে৷
ফিরিয়ে আনা হয় মূল ভূখণ্ডে
মাছ থেকে প্লাস্টিক আলাদা করার পর সেগুলো প্রকল্পের দেয়া বড় ব্যাগে ভরা হয়৷ এরপর মূল ভূখণ্ডে ফিরিয়ে এনে সেগুলো পরিবেশবান্ধব উপায়ে নষ্ট করা হয়৷
বছরে সত্তর হাজার টন মাছ
গ্রিসে মৎসজীবীর সংখ্যা দশ হাজারের মতো৷ তারা বছরে গড়ে সত্তর হাজার টনের মতো মাছ ধরেন৷
অ্যাক্টিভিস্টরাও সক্রিয়
‘ফিশিং ফর লেটার’ প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্তরা সমুদ্র থেকে তোলা প্লাস্টিক এবং অন্যান্য বর্জ্যের হিসেব রাখেন৷ বর্তমানে গ্রিসের উত্তরাঞ্চলে এই প্রকল্প চলছে৷