মাছ আছে, ক্রেতা নেই
দীর্ঘ লকডাউনের পর দিল্লিতে এখন আনলক-পর্ব চলছে। প্রায় সবই খোলা। কিন্তু করোনা নিয়ে লোকের ভয় এখনও যায়নি। তাই বাজার খোলা, কিন্তু লোক নেই। দেখা যাচ্ছে না, আড্ডার ছবি। নেহাত দরকার না পড়লে বাইরে যাচ্ছেন না দিল্লিবাসী।
মাছের বাজারের হাল
মাছ অঢেল। হরেক রকমের। কিন্তু লোক কোথায় কেনার জন্য? বিক্রেতারা বলছেন, আগের তুলনায় বিক্রি হচ্ছে মাত্র এক তৃতীয়াংশ। বেশিটা হোম ডেলিভারি। করোনার ভয় এবং লোকের আয় কমে যাওয়ায় না কি এই অবস্থা।
খাওয়ার দোকান ফাঁকা
দিল্লির বাঙালি প্রধান এলাকা চিত্তরঞ্জন পার্কের এই খাওয়ার দোকানগুলি এমনিতে গমগম করে। তবে করোনায় ভীত লোক আর সেখানে বিশেষ যাচ্ছেন না। ফলে ফাঁকা পড়ে আছে একের পর এক দোকান।
ঝাঁপ ফেলেছে রেস্তোরাঁ
অধিকাংশ রেস্তোরাঁ টিকে আছে অনলাইন অর্ডার এবং হোম ডেলিভারির ভরসায়। আবার অনেক রেস্তোরাঁ ক্ষতি সহ্য করতে না পেরে একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
বন্ধ সাংস্কৃতিক সংস্থা
অধিকাংশ সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংস্থা এখনও খোলেনি। এমনিতে লোকে আসছেন না। তার ওপর কর্মীদের করোনার ভয়। ফলে চিত্তরঞ্জন ভবনের লাইব্রেরি, লাউঞ্জ, হল সবই বন্ধ। একই ছবি অন্যত্রও।
দরজা বন্ধ মন্দিরের
এমনিতে ধর্মস্থান খোলার অনুমতি আগেই দিয়ে দিয়েছে সরকার। তবু সতর্ক অনেকে। যেমন এই মন্দিরের দরজা এখনও বন্ধ। খুলবে ১ জুলাই থেকে।
ফাঁকা রাস্তা
যে রাস্তা আগে গমগম করত, তা এখন ফাঁকা। বিকেলে অফিস ভাঙার পরের ছবি এটা। অটো যাত্রীর অভাবে দাঁড়িয়ে আছে। গাড়ি কম। লোক নেই বললেই চলে। আতঙ্কে লোকে ঘরবন্দি থাকাই পছন্দ করছেন।