1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মাছের গায়ে বসানো ই-চিপ জানাবে মাছেদের খবরসবর

২০ সেপ্টেম্বর ২০১০

যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা মাছের শরীরে মামুলি কম্পিউটার গেমের যন্ত্রাংশ বসিয়ে ভবিষ্যতের মৎস সম্পদ সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার চেষ্টা করছেন৷ এ নিয়ে গবেষণায় সাফল্য এলে আমরা সামুদ্রিক প্রাণী সম্পদের একটি পরিষ্কার ধারণা পাবো৷

https://p.dw.com/p/PGF7
ছবি: AP

কথায় আছে ‘নেই কাজ তো খই ভাজ!' কিন্তু মাছ নিয়ে যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন সেটিকে আবার এই কাতারে ফেলাটা বোধহয় ঠিক হবে না৷ যুক্তরাজ্যের ‘সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট, ফিসারিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার সায়েন্স' বা সিফাস এর বিজ্ঞানীরা মাছের শরীরে বিশেষ ধরণের চিপ বা ছোট্ট একটি ইলেক্ট্রনিক বস্তু লাগিয়ে আসলে দেখতে চাইছেন এর দৌড় কতটা৷ অর্থাৎ মোদ্দা কথা হচ্ছে, মাছের শরীরে এই চিপ বসিয়ে মাছের গতি-প্রকৃতি সহ সমুদ্রের তাবৎ প্রাণীকূলেরই একটি পরিষ্কার ধারণা তাঁরা পেতে চাইছেন৷ এই চিপের কল্যাণে নাকি ভবিষ্যতের মৎস সম্পদের পরিমাণটি সম্পর্কেও একটি ধারণা পাওয়া যাবে৷ মানে মনুষ্যকূলে আমরা আরো কতদিন মাছ খেতে পারবো আরকি! আরও কতদিন এই মাছের যোগান দিয়ে যেতে পারবে সমুদ্র৷

ভাবাই যায় না! মামুলি কম্পিউটার গেমসের জন্য ব্যবহৃত ক্ষুদে চিপ বসিয়েই তাঁরা এই কাণ্ডটি ঘটিয়ে ফেলেছেন৷ সিফাসের বিজ্ঞানীরা অবশ্য আগেও এমন কিছু গবেষণা চালিয়েছিলেন৷ এরই একটি গবেষণায় তাঁরা মাছের চোয়ালে ই-ট্যাগ ধাঁচের একটি ইলেকট্রনিক বস্তু বসিয়েছিলেন৷ এর ফলে চোয়ালে ই-চিপ বসানো মাছটি যখনই মুখ খুলতো, চিপটি তখনই সংকেত পাঠাতো যে- এই তো, এবারে মাছ বাবাজি মুখ খুলেছেন! শুধু তাই নয়, মাছটি যখন শ্বাস নিত, খাবার খেত এমনকি যখন কাশতো বা হাই তুলতো, সবকিছুই টের পাওয়া যেত এই চিপটির কল্যাণে৷ আর এর মাধ্যমে মাছটি এখন ঠিক কোথায় সেটাও নাকি বোঝা সম্ভব৷

এদিকে জানা গেছে, সিফাসের বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক এই উদ্যোগটিতে সেদেশের মৎস্যমন্ত্রী রিচার্ড বেনিয়ান নাকি আনন্দে বেশ ডগমগই হয়েছেন৷ তিনি তাঁর এক বক্তব্যে জানিয়েছেন, এই গবেষণার মধ্য দিয়ে আমাদের বিজ্ঞানীদের সৃষ্টিশীলতা আর মহত্বই ফুটে উঠেছে, তাঁরা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য কাজ করছেন৷ মৎস সম্পদের যাবতীয় খোঁজ খবর নেওয়া যাবে তাঁদের এই গবেষণার কল্যাণে৷

সেই গবেষণায় সাফল্য পাওয়ার পর এবারের এই গবেষণায় মাথা ঘামাচ্ছেন সিফাসের বিজ্ঞানীরা৷ এবারের গবেষণায় ব্যবহৃত ই-চিপটির খরচ অবশ্য নেহায়েত কম নয়, প্রায় আটশো পাউন্ড৷ তার মানে ডলারে বারশো তেত্রিশ খরচা পড়ছে প্রতিটি ই-চিপ বানাতে৷ খরচ যাই হোক, বিজ্ঞানীরা দেখেছেন এই ই-চিপ একটা দারুণ কাজের জিনিস৷ এটি ব্যবহার করে তাঁরা চমৎকার ফল পেয়েছেন৷ আর কে না জানে, ‘সব ভালো তার শেষ ভালো যার৷'

প্রতিবেদনঃ হুমায়ূন রেজা

সম্পাদনাঃ সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়