মহাশূণ্যে গেলেই অকর্মণ্য যত ওষুধবিষুধ
১৮ এপ্রিল ২০১১এরপর মহাশূণ্যে যখন মহাকাশচারীরা লম্বা সময়ের জন্য পাড়ি দেবেন, তখন যদি কারও হঠাৎ করে জ্বরজ্বালা হয়, কিংবা কারও যদি কোনরকমের ভাইরাস সংক্রমণ থেকে ইনফেকশন হয়ে যায় শরীরে, তাহলে কিন্তু সাধারণ প্যারাসিটামল কিংবা অ্যান্টিবায়োটিকে কোন কাজই হবে না৷ কারণ, ওরা তাদের কাজ করাটা থামিয়ে দেবে৷
জনসন স্পেস সেন্টারের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি সেটাই জানতে পেরেছেন৷ তাঁরা লক্ষ্য করেছেন, পৃথিবার ওষুধবিষুধ মহাশূণ্যে পৌঁছনোর পর তাদের কাজ করা বন্ধ করে দেয়৷ তার কারণটাও ব্যাখ্যা করেছেন বিজ্ঞানীরা৷ তাঁদের ধারণা, মহাকাশযানের মধ্যে সারাক্ষণ যে বিকিরণ হয়, তার জন্যই সম্ভবত ওষুধপত্রের গুণাবলী নষ্ট হয়ে যায়৷
সাম্প্রতিক এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে এএপিএস জার্নালে৷ বিজ্ঞানীরা মহাশূণ্যের প্রভাব ওষুধের ওপর দেখতে দুটি একইরকম বাক্সে মোট ৩৫ রকমের দরকারি ওষুধপত্র ভরে বাক্সদুটির একটিকে রেখেছিলেন মহাশূণ্যের স্পেস স্টেশনে৷ আর অন্য বাক্সটিকে রাখা হয়েছিল মহাকাশযানের মধ্যে৷ প্রথম বাক্সটা মহাশূণ্যে ছিল ২৮ মাস সময়৷ আর দ্বিতীয়টি ছিল তেরো দিনের মত৷ দেখা গেছে দুটি বাক্সেরই ওষুধপত্রেরা তাদের কার্যকারিতা হারিয়েছে৷ তবে তাদের মাত্রায় রয়েছে কিছু হেরফের৷
সুতরাং, মহাশূণ্যের যাত্রীদের জন্য হয় বানাতে হবে বিশেষ ওষুধ৷ অথবা, কোন অবস্থাতেই অসুস্থ হওয়া চলবে না কোন মহাকাশযাত্রীর৷
প্রতিবেদন : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: জাহিদুল হক