1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মহারাষ্ট্রে ফের লকডাউনের আশঙ্কা

২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১

ভারতের পাঁচটি রাজ্যে করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। মহারাষ্ট্রে ফের ঘোষণা হতে পারে লকডাউন।

https://p.dw.com/p/3pgWU
উদ্ধব ঠাকরে
ছবি: Getty Images/AFP

ভারতে করোনার গ্রাফ নেমে গেছে বলে কেন্দ্রীয় সরকার কয়েকমাস আগেই ঘোষণা করে দিয়েছিল। কিন্তু নতুন করে আবার করোনার প্রকোপ শুরু হয়েছে দেশের পাঁচটি রাজ্যে। তারমধ্যে মহারাষ্ট্র সবার উপরে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে জানিয়েছেন, আগামী আট থেকে ১৫ দিনের মধ্যে যদি পরিস্থিতির বদল না হয়, তাহলে নতুন করে রাজ্য জুড়ে লকডাউন ঘোষণা করা হবে। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের কয়েকটি জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের অন্য রাজ্যগুলিতেও নতুন করে করোনার প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে।

গত বছর শেষের দিকে ভারতে দৈনিক করোনা সংক্রমণ আশি হাজার ছাড়িয়ে গেছিল। কমতে কমতে বছরের শুরুতে তা পাঁচ হাজারের নীচে নেমেছিল। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে তা ফের ঊর্ধ্বমুখী। কেন্দ্রীয় সরকারের হিসাব অনুযায়ী সোমবার করোনার সংক্রমণ ১২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মহারাষ্ট্র। ১২ হাজারের মধ্যে শুধু মহারাষ্ট্রেই দৈনিক সংক্রমণ ছয় হাজারের কিছু বেশি। শুধু তাই নয়, মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে, করোনায় মৃত্যুর হারও রাজ্যে আগের চেয়ে বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে লকডাউনের কথা ভাবছে মহারাষ্ট্র সরকার।

উদ্ভব ঠাকরে একটি ভিডিও বিবৃতিতে বলেছেন, ''আগামী ৮থেকে ১৫ দিন সংক্রমণ পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হবে। যদি সংক্রমণ একই হারে বাড়তে থাকে, তা হলে ফের লকডাউনের পথে হাঁটতে হতে পারে।'' রাজ্যবাসীকে উদ্ধব বলেছেন, ''আপনারা কি লকডাউন চান? না চাইলে সমস্ত নিয়ম মেনে চলুন। মাস্ক ব্যবহার করুন।''

শুধু মহারাষ্ট্র নয়। কেরালা, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ এবং পাজ্ঞাবেও করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, রাজ্যগুলিতে মোবাইল টেস্ট সেন্টার পাঠানো হবে। যত বেশি সম্ভব মানুষের করোনা পরীক্ষা হবে। একই সঙ্গে গুরুত্ব দেওয়া হবে টিকাকরণেও।

কোনো কোনো বিশেষজ্ঞের মতে, ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। তারই জেরে নতুন করে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের নতুন করোনার স্ট্রেইন ভালোভাবেই ঢুকে পড়েছে ভারতে। দেশ জুড়ে ২৪০ জনের শরীরে নতুন স্ট্রেইন মিলেছে। তার ফলে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)