1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মহারাষ্ট্রে আছড়ে পড়লো নিসর্গ

৩ জুন ২০২০

ভারতের পূর্ব উপকূল তছনছ করেছে আমফান। বুধবার পশ্চিম উপকূলে আছড়ে পড়লো ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ। 

https://p.dw.com/p/3dAVm
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar

মহারাষ্ট্রের আলিবাগে আছড়ে পড়লো ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ। এর ফলে মহারাষ্ট্র ও গুজরাটে সমুদ্রে বড় বড় ঢেউ উঠছে। শুরু হয়েছে বৃষ্টি। প্রবল গতিতে ঝড় হচ্ছে। আলিবাগে ঝড়ের গতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। প্রবল ঝড় ও বৃষ্টি হচ্ছে মুম্বই, রাইগড়, রত্নগিরি সহ মহারাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ এলাকায়।

যেখানে ঘূর্ণিঝড় প্রথমে আছড়ে পড়েছে তা মুম্বই থেকে ৯৫ কিলোমিটার দূরে। এই ঝড়ের প্রভাবে মুম্বইও বিপর্যস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

কিছুদিন আগেই মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় আমফান বিধ্বস্ত করে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিশাল এলাকা। এ বার নিসর্গর জন্য ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে মহারাষ্ট্র, গুজরাট ও দমন ও দিউতে। এই অঞ্চলে এত ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় গত একশ বছরে আসেনি। 

করোনারকারণে এমনিতেই মুম্বইয়ের অবস্থা খারাপ। তার ওপর সেখানে প্রবল বৃষ্টি হবে বলে হাওয়া অফিস জানিয়েছে। ইতিমধ্য়েই কলকাতার মতো মুম্বইতেও প্রচুর গাছ পড়তে শুরু করেছে। বান্দ্রা সহ বিভিন্ন এলাকায় গাড়ির ওপর, সোসাইটির গেটের ওপর গাছ পড়েছে। সরকারের তরফ থেকে সবাইকে ঘরের ভিতরে থাকতে বলা হয়েছে। জল তুলে রাখতে বলা হয়েছে। মোবাইল পুরো চার্জ করে রখতে বলা হয়েছে। 

নবি মুম্বইয়ের অবস্থাও শোচনীয়। সেখানেও প্রচুর গাছ পড়ছে। ঝড়ের গতি সমানে বাড়ছে। বিদ্যুতের খুঁটিও পড়েছে। সমুদ্র ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। মুম্বইতে এমনিতেই বেশি বৃষ্টি হলে জল জমে যায়। নিসর্গের কারণেও মুম্বই জলের তলায় চলে যেতে পারে।

কিছুদিন আগে কলকাতা সহ উত্তর, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হাওড়ায় যে ছবি দেখা গিয়েছিলো, সেরকম ছবিই দেখা যাচ্ছে মহারাষ্ট্রে। 

এর মধ্যেই কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল পাঠানো হয়েছে মুম্বই এবং উপকূলবর্তী গুজরাটে। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে উপকূলের লোকেদের।

ঘূর্ণিঝড়ের এই নাম রেখেছে বাংলাদেশ। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া মন্ত্রকের ডিজি মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, মঙ্গলবারই আরব সাগরে জন্ম নিয়েছে নিসর্গ। বুধবার বিকেলে তা ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে আছড়ে পড়েছে মহারাষ্ট্র উপকূলে। 

আবহবিজ্ঞানীদের একাংশের অভিমত, বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণেই বার বার এ ধরনের ঘূর্ণিঝড়ের জন্ম হচ্ছে বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে। পুনের ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিক্যাল মেটেরিওয়লজির বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে যখন আমফানের উৎপত্তি হয়েছিল, তখন জলের যা তাপমাত্রা ছিল, আরব সাগরেও এখন সেই তাপমাত্রা। দেশের দুই উপকূলের দুইটি সমুদ্রে তাপমাত্রার এই মিল খুব স্বাভাবিক নয় বলেই তাঁদের বক্তব্য। এবং এর পিছনে বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব রয়েছে বলেই তাঁরা মনে করছেন।

এসজি/জিএইচ(পিটিআই, এএনআই)