1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মহাকাশে মাপজোকের নানা মানদণ্ড

১৯ এপ্রিল ২০১৯

পৃথিবীর বুকে বসে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের বিশালত্ব সম্পর্কে ধারণা করা সত্যি কঠিন৷ বিশেষ করে বিভিন্ন মহাজাগতিক বস্তুর মধ্যে দূরত্ব মাপা বড় চ্যালেঞ্জ৷ বিজ্ঞানীরা সেই লক্ষ্যে কিছু কৌশল প্রয়োগ করেন৷

https://p.dw.com/p/3H4Cl
Neuer Planet entdeckt
ছবি: picture-alliance/AP/NASA/JPL-Caltech

মহাকাশে দূরত্ব মাপার উপায় কী? মাইল বা কিলোমিটারের মতো পরিচিত মাপকাঠি দিয়ে আমাদের সৌরজগতে মাপজোক করা সম্ভব নয়৷

গত কয়েক দশকে আমরা সৌরজগতের সীমানার বাইরেও মহাকাশযান পাঠিয়েছি৷ এমনকি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের মহাজাগতিক বস্তু, অর্থাৎ প্রায় ৪ লক্ষ কিলোমিটার দূরে চাঁদের বুকে মানুষ পা রেখেছে৷ প্রায় দেড়শো কোটি কিলোমিটার দূরে শনিগ্রহের সঙ্গে তুলনা করলে সেই দূরত্ব অবশ্য কিছুই নয়৷

কখনো যদি আমাদের সবচেয়ে কাছের সৌরজগতে যেতে হয়, তার জন্য প্রায় ৪০ লক্ষ কোটি কিলোমিটার পাড়ি দিতে হবে৷ সেই দূরত্ব অতিক্রম করতে আলোর প্রায় ৩ বছর সময় লাগবে৷ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে আলো একই গতিতে এগিয়ে যায়৷ জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা তাই সেই সময়কে মানদণ্ড হিসেবে স্থির করেই দূরত্বের বর্ণনা দেন৷

মহাকাশে মাপজোকের নানা মানদণ্ড

সেইসঙ্গে তথাকথিত ‘প্যারালাক্স' পদ্ধতির মাধ্যমে তাঁরা দূরত্ব মাপেন৷ সে ক্ষেত্রে তাঁরা কোনো বিশেষ নক্ষত্রের কোণ মাপেন৷ ৬ মাস পর আবার নতুন করে সেই মাপ নেওয়া হয়৷ ত্রিকোণমিতির সাহায্যে তাঁরা অঙ্ক কষে পৃথিবী থেকে সেই নক্ষত্রের দূরত্ব নির্ণয় করেন৷ তবে এই প্রক্রিয়া শুধু অপেক্ষাকৃত কাছের অঞ্চলে প্রয়োগ করা সম্ভব৷ অর্থাৎ প্রায় ১৫০ আলোকবর্ষ পর্যন্ত দূরত্বে তা কার্যকর হয়৷

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মিল্কি ওয়ে ছায়াপথের আয়তন অথবা আমাদের প্রতিবেশী ছায়াপথের সঙ্গে দূরত্ব মাপতে চাইলে অন্য মাপকাঠির প্রয়োজন হয়৷ তার পোশাকি নাম ‘সেফাইড' – অর্থাৎ যে সব নক্ষত্রের মিটমিটে আলোর বিকিরণের সঠিক পরিমাণ জানা আছে, সেগুলিই মাপকাঠি হয়ে ওঠে৷ সেগুলিকে মান নির্ণায়ক মোমবাতিও বলা হয়৷ ‘সেফাইড' থেকে যে পরিমাণ আলো টেলিস্কোপে ধরা পড়ে, তা বিচার করে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দূরত্ব মাপতে পারেন৷ নির্দিষ্ট ধরনের বিস্ফোরণরত নক্ষত্র আরও উজ্জ্বল মান নির্ণায়ক মোমবাতি৷

মহাকাশে হাবল টেলিস্কোপে দৃশ্যমান ব্রহ্মাণ্ডের প্রান্ত পর্যন্ত আলোর এই সব উৎস ধরা পড়ে৷ একটি ছবিতে এমন সব গ্যালাক্সি দেখা যাচ্ছে, যেগুলি পৃথিবী থেকে প্রায় ১,৩০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে৷ এত দূরের কোনো দৃশ্য সত্যি বিরল৷

করনেলিয়া বরমান/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান