মসুলের ধ্বংসাবশেষে নতুন প্রাণ
ইরাকের পূর্ব মসুলের একটি মাতৃসদন আল-খানসা হাসপাতাল৷ যুদ্ধের ভয়াবহতায় প্রায় নিশ্চিহ্ন এই হাসপাতালটিই মসুলবাসী প্রসূতির প্রধান সেবাকেন্দ্র৷ প্রতিদিন এই ধ্বংসাবশেষেই জন্ম নিচ্ছে নতুন প্রাণ৷
প্রাণের স্পন্দন
প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত আল-খানসা হাসপাতালের কিছু অংশই অবশিষ্ট আছে এখন৷ তারপরও এটিই এই শহরের সরকার পরিচালিত প্রধান মাতৃসদন৷ শুধু গত মাসেই এখানে প্রায় ১,৪০০ শিশু জন্ম নিয়েছে৷
রোগীর চাপ
জানুয়ারিতে জঙ্গিদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই হাসপাতালটি চালু করা হয়৷ তখন থেকেই এখানে রোগী ও প্রসূতিদের প্রচণ্ড চাপ৷
ধ্বংসচিহ্ন
এই ছবিটি দেখলে বোঝার উপায় নেই এখানে কোনো হাসপাতাল দাঁড়িয়ে আছে৷ এমনই করুণ পরিণতি হয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত সদনটির৷ ২০১৪ সালে যখন ইসলামিক স্টেট বা আইএস মসুলের দখল নেয় তখন হাসপাতালটির একাংশ সাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল৷
ঔষধের জন্য হাহাকার
অধিকাংশ ঔষধ পুড়ে ছাই হয়েছে যুদ্ধের আগুনে৷ হাসপাতালটিকে নিজেদের ঔষধপত্র ও কাশির সিরাপের গুদাম হিসেবে ব্যবহার করত আইএস৷ পরাজয় নিশ্চিত বুঝে তখন তারা এই গুদাম জ্বালিয়ে দেয় এবং বোমা মেরে হাসপাতালটি উড়িয়ে দেয়৷
ভগ্নদশা আইসিইউ
মাতৃসদনের আইসিইউ-এর একটি অংশ৷ আল-খানসা হাসপাতাল দখল নেবার সময় সেখানকার রোগী ও কর্মচারীদের বের করে দেয় আইএস৷ গুলি চালায় তাদের ওপর৷
হাসপাতালের অন্যান্য অংশ
যুদ্ধে একেবারে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে গেছে হাসপাতালের বিভিন্ন অংশ৷ খসে পড়েছে পলেস্তারা, ইটের গাঁথুনি৷
প্রয়োজন পুন:সংস্কার
হাসপাতালটির সংস্কার প্রয়োজন৷ সেজন্য প্রয়োজন অর্থের৷ ইরাকের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এখনো কোনো বরাদ্দ পাঠায়নি৷ আপাতত কয়েকটি এনজিও ও আশেপাশের মানুষদের সহায়তায় টিকে আছে এটি৷
নিজেরাই করছেন সংস্কার
হাসপাতালের লোকজনই আপাত সংস্কারের চেষ্টা চালাচ্ছেন৷ ছবিতে তেমন একজনকেই দেখা যাচ্ছে৷