‘মরে যাবো, তবু দেশে ফিরে যাবো না’
স্পেনের ছিটমহল সেউটায় এসে ভিড়ছেন হাজার হাজার অভিবাসী৷ কেমন চিত্র সেওটায়, দেখুন ছবিঘরে...
যা ঘটছে সেউটায়
স্প্যানিশ ভূখণ্ডের সেউটা ছিটমহলে সোমবার একদিনেই প্রায় ছয় হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী অনিয়ন্ত্রিতভাবে প্রবেশ করেছেন, যাদের অধিকাংশই মরক্কোর নাগরিক৷ ছিটমহলটিতে এর আগে কখনো একদিনে এত অভিবাসনপ্রত্যাশী প্রবেশের ঘটনা ঘটেনি৷ স্পেন-মরক্কোর মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা সীমান্তে অভিবাসীদের ভিড় বেড়ে যাওয়ার একটি কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷
পানির বোতল যখন বাহন
খালি পানির বোতলের সাহায্যে সাগরে ভেসে থেকে স্পেনের সেউটার তটে এসে পৌঁছায় মরক্কোর এক বালক৷ পানির বোতলের সহায়তায় তার ভেসে থাকার দৃশ্যটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বর্তমানে আলোচিত হচ্ছে৷
‘মরে যাবো, তবুও...’
ছেলেটি সম্পর্কে সীমান্ত পুলিশকর্মী রাশিদ বলেন, ‘‘ছেলেটি ফিরে যেতে চায়নি, কারণ, মরক্কোতে তার কোনো পরিবার নেই৷ সে যদি শীতে মারাও যেতো, তাতেও তার হেলদোল ছিল না৷ সে মরে যেতেও প্রস্তুত ছিল, কিন্তু মরক্কোতে ফিরে যেতে রাজি না৷ এত অল্পবয়সি কারো মুখে আমি এমন কথা কোনো দিন শুনিনি৷’’
বর্তমান
কাঁদতে থাকা ছেলেটিকে সীমান্ত পুলিশ দুই দেশের মাঝের জায়গায় নিয়ে যায়৷ কিন্তু স্পেন থেকে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ফেরত পাঠানো অবৈধ৷ কিন্তু সেউটায় পৌঁছানোর পর ছেলেটি এখন কোথায়, তা জানে না সীমান্ত পুলিশ৷
রেবাতের পদক্ষেপ
চলতি সপ্তাহে মরক্কো কর্তৃপক্ষ সীমান্তবিধি শিথিল করলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ভিড় বেড়ে যায়৷ প্রায় আট হাজার অভিবাসী এখন পর্যন্ত সেউটায় এসে পৌঁছেছেন৷
ভেসে যাওয়া কোলের শিশু
স্পেনের পুলিশসূত্রে একটি চিত্র বর্তমানে আলোচিত হচ্ছে যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি শিশুকে, যে এই সাগরপথে আসতে গিয়ে তার বাবা-মায়ের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে৷ শিশুটিকে উদ্ধার করেছে সীমান্ত পুলিশ৷
সীমান্ত পুলিশ যা বলছে
স্পেন সীমান্ত পুলিশকর্মী আল মেসাউই মরক্কোর প্রচলিত দারিজা আরবি ভাষা বলতে পারেন৷ তাই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সাথে কথা বলতে পারেন তিনি৷ রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘‘সেই ছেলেটির জন্য আপনি চাইলেও কিছু করতে পারবেন না৷ আমরা অভিবাসীদের বলি, পরিবারকে না ছেড়ে দিতে৷ আমরা তাদের বলি নিজের দেশে হাজার কষ্ট থাকলেও নিজের পরিবারের সাথে থাকতে৷’’