মরণোত্তর পিতৃত্ব পরীক্ষা
একজন অধিবাস্তববাদী শিল্পীর জন্য বিষয়টি খুবই অদ্ভুত শোনালেও শুধু সালভাদর দালির ক্ষেত্রেই ঘটেনি৷ তালিকার বিখ্যাত এই মানুষগুলোর সবাইকেই মৃত্যুর পর পিতৃত্বের পরীক্ষাও দিতে হয়েছে৷
সালভাদর দালি
এই প্রখ্যাত স্প্যানিশ অধিবাস্তববাদী চিত্রকরকে পিতৃত্বের পরীক্ষা দিতে হয়েছে মৃত্যুর ২৭ বছর পর৷ পিলার আবের নামের একজন তাঁর কন্যা কি না সেটি নির্ণয় করতেই ১৯৮৯ সালে করা হল এই পরীক্ষা৷ দালি ও তাঁর স্ত্রী গালা (বাঁয়ে)-র কোন সন্তান ছিল না৷ যদিও এই পরীক্ষা দালির অদ্ভুত জীবনের একটি দিক প্রকাশ করে, তবে মৃত্যুর পর এ ধরনের ‘অগ্নিপরীক্ষা’ কেবল তাঁকে একাই দিতে হয়নি৷
জেমস ব্রাউন
২০০৬ সালে ‘গডফাদার অফ সোল’ খ্যাত মার্কিন এই গায়ক মৃত্যুর আগে সম্ভবত ১৩ জন সন্তান রেখে যান৷ অবশ্য এদের ৯ জনকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন তিনি৷ ২০০১ সালে টমি রে হাইনি নামের এক নারী জেমস ব্রাউনের শেষ স্ত্রী বলে প্রমাণিত হন এবং তাঁর ছেলেও জেমসেরই ঔরসে জন্ম বলে প্রমাণিত হয়৷ এরপর আরো অন্তত দুই জন মরণোত্তর ডাক্তারি পরীক্ষায় জেমসের সন্তান বলে প্রমাণ পাওয়া যায়৷
ইভ মোঁত
১৯৯১ সালে মারা যান বিখ্যাত ফরাসি-ইটালিয়ান এই অভিনেতা-সঙ্গীতশিল্পী৷ তাঁর সঙ্গে মেরিলিন মনরো’র সম্পর্ক ছিল৷ তাঁর জীবদ্দশায় আরেক অভিনেত্রী আন দ্রোসার তাঁর মেয়ে অরোরের পিতা হিসেবে ইভকে দাবি করলেও ইভ কোন ধরনের ডাক্তারি পরীক্ষার মুখোমুখি হতে অস্বীকার করেন৷ তবে মৃত্যুর সাত বছর পর তাঁকে এই পরীক্ষা দিতে হয়, যদিও প্রমাণিত হয় যে তিনি অরোরের পিতা নন৷
হুয়ান মানুয়েল ফানজো
১৯৯৫ সালে এই ফর্মুলা ওয়ান তারকা যখন মারা যান, তখন পর্যন্ত তিনি নিঃসন্তান ছিলেন বলেই সবাই জানতেন৷ কিন্তু মৃত্যুর ২০ বছর পর ডাক্তারি পরীক্ষায় প্রমাণিত হয় যে অস্কার কাসো এসপিনোসা ও রুবেন ভাস্কেস নামে তাঁর দুই সন্তান রয়েছেন৷
হুয়ান পেরন
আর্জেন্টিনার এই সাবেক প্রেসিডেন্ট মারা যান ১৯৭৪ সালে৷ ২০০৬ সালে তাঁর দেহ তোলা হয় পিতৃত্বের পরীক্ষার জন্য৷ সে সময় মার্তা ওলগাদো নামের ৭২ বছর বয়সী নারী এই আইকনিক নেতার সন্তান বলে নিজেকে দাবি করেন, যদিও পরীক্ষায় তা প্রমাণিত হয়নি৷
ববি ফিশার
কিংবদন্তী এই দাবাড়ু গ্র্যান্ডমাস্টারের মৃত্যু হয় ২০০৮ সালে৷ তাঁর সঙ্গে এক ফিলিপিনো নারীর প্রেম ছিল৷ সেই নারী তার মেয়ে জিংকি ইয়াংকে ববির সন্তান বলে দাবি করেন, যদিও পরীক্ষার পর তা ধোপে টেকেনি৷