1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মধুচন্দ্রিমার মর্মান্তিক পরিসমাপ্তি

১৬ নভেম্বর ২০১০

দক্ষিণ আফ্রিকায় মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে মর্মান্তিক অভিজ্ঞতার শিকার হলেন এক ব্রিটিশ ভারতীয় দম্পতি৷ অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে পুরুষটিকে ছেড়ে দিল দুষ্কৃতীরা, পরে পাওয়া গেল সদ্য বিবাহিতার মৃতদেহ৷

https://p.dw.com/p/Q9yv
অপহরণকারীদের হাতে নিহত হন সদ্য বিবাহিতা অ্যানি (ফাইল ফটো)ছবি: picture alliance/dpa

শিরেন আর অ্যানি দেওয়ানি৷ ঠিক দু'সপ্তাহ আগে বিয়ে হয়েছিল তাঁদের ইংল্যন্ডের ব্রিস্টলে৷ তরুণ এই ব্রিটিশ ভারতীয় দম্পতি মধুচন্দ্রিমা যাপন করতে গিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকায়৷ কিন্তু ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হল এই দম্পতির৷ বন্দুকের মুখে গুগুলেথু নামের কেপ টাউন থেকে সামান্য দূরের এক শহরে রাত এগারোটায় তাঁদের ট্যাক্সি থামিয়ে অপহরণ করা হয় দু'জনকে৷ কিছু পরে শিরেনকে অক্ষত অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হয় হারারের কাছে হাইওয়েতে৷ আর পরের দিন পাওয়া যায় অ্যানির ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ৷ কেপ টাউন পুলিশের মুখপাত্র কর্নেল আন্দ্রে টাউট এই খবর জানিয়েছেন৷

২৮ বছরের অ্যানি আর ৩১ বছরের শিরেনের পরিবার এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ, মূক৷ যোগাযোগ রেখে চলেছেন তাঁরা দক্ষিণ আফ্রিকার দূতাবাসের সঙ্গে৷ হারারেতে, যেখানে শিরেন দেওয়ানিকে মাঝরাতে হাইওয়েতে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা, সেখানে এই যুবকের মানসিক অবস্থা সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত৷ তিনি ভালো করে কথা বলতে পারছেন না এখনও৷ তাঁর চিকিৎসা চলছে নার্সিং হোমে৷ বলেছে পুলিশ৷ মাত্র গত শুক্রবারেই এই দম্পতি মধুচন্দ্রিমা যাপন করতে জোহানেসবার্গ বিমানবন্দরে নেমেছিল৷ তারপর তারা গুগুলেথুর ওয়াইন চাষ দেখতে যান৷ সেখান থেকে ফেরার পথে রাত এগারোটায় ঘটে যায় এই কাণ্ড৷

দক্ষিণ আফ্রিকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সাম্প্রতিক অতীতেও বহু অভিযোগ উঠেছে৷ বিদেশি পর্যটকদের অপহরণ বা তাদের ওপর হামলার একাধিক ঘটনা ঘটেছে সেদেশে৷ অপহরণকারীদের হাতে নিহত অ্যানির মৃতদেহের ময়নাতদন্তের কাজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ তারপরেই স্পষ্ট বোঝা যাবে, ঠিক কীভাবে মৃত্যু হয়েছিল এই হতভাগ্য নববধূর৷

তদন্ত চলছে পুরো ঘটনা নিয়েও৷ দুষ্কৃতীদের ধরার জন্য ঘটনাস্থলে বিভিন্ন ব্যক্তিকে জেরা করেছে পুলিশ৷ হয়তো অচিরেই দুষ্কৃতীরা ধরা পড়বে এমন প্রত্যাশাও জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার৷

তা হয়তো পড়বে৷ কিন্তু এই সদ্য বিবাহিত দম্পতি এবং তাদের পরিবারের জীবনে যে ঘনকালো ছায়া পড়ল, তা বোধহয় আর কোনদিনই মুছবে না৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক