মতৈক্যে পৌঁছনোর চেষ্টা চলছে জি টোয়েন্টিতে
২৭ জুন ২০১০আলোচনার বাকি কী রয়ে গেল
মুখ্য বিষয়টা এখনও বাকি৷ যা আসলে এই সম্মেলন শেষের মতৈক্য এবং চুক্তি৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার যেমন মত, ঘরের খরচ পুরোপুরি কমালে চলবে না, ব্যাঙ্ক সহ অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে কর আরোপের জার্মান প্রস্তাব সেভাবে গ্রাহ্য হয় নি বলে জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেল বেশ হতাশ৷ ওদিকে, ইউরোপ তাদের ঘাটতি বাজেট নিয়ন্ত্রণ করতে বিশেষ কিছু করছে না বলে অভিযোগ করে রেখেছেন টিমোথি গাইথনার৷ সম্মেলনের আয়োজক দেশ ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পার বলছেন, মতের অমিল থাকলেও মধ্যমানের বাজেট ঘাটতি মেটানোর পথ নেওয়াটাই মন্দা মোকাবিলায় সবচেয়ে জরুরি পদক্ষেপ৷ এতসব কিছু মিলেমিশে জি টোয়েন্টির সম্মেলন শেষের ঘোষণা ঠিক কী হতে চলেছে সেটা আন্দাজ করা মুশকিল৷ তবে, মোটের ওপর বোঝাপড়া একটা করতে হবে৷ কারণ, ভারত বা চীনের মত উন্নয়নশীল দেশগুলির ক্রমবর্দ্ধমান অর্থনৈতিক সংস্কারের দাবির দিকটাও ভাবতে হবে৷
জি টোয়েন্টির সদস্যরা কী খোলা মনে এই সম্মেলনে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন
সোজা ভাষায় বললে বলতে হয়, পারছেন না৷ তার অন্যতম কারণ, প্রায় প্রত্যেকটি দেশকেই মাথায় রাখতে হচ্ছে তাদের যার যার ঘরের সমস্যার কথা৷ যেমন, ওবামার সমস্যা আফগানিস্তান যুদ্ধ, সদ্য ক্ষমতায় আসা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের জোট সরকার পারস্পরিক বোঝাপড়ার সরু সুতোয় ঝুলছে৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল দ্বিতীয়দফায় চ্যান্সেলর পদের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বেশ সমালোচনার মুখোমুখি তাঁর নতুন জোট৷ ইউরোজোনের সদস্য রাষ্ট্রগুলির সবাই ইউরোর ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবিত৷ ফলে ঘরোয়া সমস্যা তো অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলছেই৷ এর বাইরে আরও আছে ঘাটতি বাজেটের মাথাব্যথা৷ এশিয়া থেকে ভারত আর চীনের মত উন্নয়নশীল অর্থনীতির চাপের দিকটাও অবহেলা করার বিষয় নয়৷
জি টোয়েন্টিতে এবার বিক্ষোভেও বেশ বাড়াবাড়ি
জি এইট জি টোয়েন্টির আসরে দারিদ্র বিরোধী এবং পরিবেশবাদীদের আন্দোলন সহিংস রূপ নেয় রবিবার৷ পূর্বে বিলিয়ে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো পালন না করেই শেষ হয়েছে জি এইট৷ ফলে দশ হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারী ক্ষোভে ফেটে পড়ে রবিবার টোরান্টোর রাস্তায়৷ পাশাপাশি বিশ্বায়নবিরোধী কর্মীরা ভাঙচুর করেছে দোকানপাট৷ আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় চারটি পুলিশের গাড়িতে৷ বিক্ষোভ দমনে নেমে পুলিশ আটক করেছে দেড়শোরও বেশি বিক্ষোভকারীকে৷ জি টোয়েন্টি সম্মেলনের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সম্মেলনস্থল ঘিরে ১২ হাজার অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা : হোসাইন আব্দুল হাই