1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মঙ্গলে যাবার সুযোগ এলো আপনার! যাবেন নাকি?

৩ অক্টোবর ২০১০

মঙ্গলগ্রহে বিশেষ বৈজ্ঞানিক ল্যাবরেটরি পাঠাচ্ছে নাসা৷ চলছে কাজ৷ মন্যুষ্যবিহীন এই ল্যাবরেটরি ২৩ মাস থাকবে মঙ্গলে৷ যাবেন নাকি সেখানে?

https://p.dw.com/p/PShm
যেতে চান এই মঙ্গলগ্রহে?ছবি: AP

আমি মঙ্গলে যাচ্ছি৷ না কেবল আমি না আমার ছেলে, আমার স্ত্রী৷ মানে পুরো পরিবার৷ অবাক হলেন তো! অবাক হবারই কথা৷ কিন্তু ঘটনাটি সত্য৷ তবে আমি একটু কেবল ঘুরিয়ে বলেছি কথাটা৷ মানে আমরা সশরীরে নয়, মঙ্গলের বুকে যাচ্ছে আমাদের নাম৷ আর এজন্য অপেক্ষা আর মাত্র কয়েক মাস৷

২০১১ সালেই নাসার একটি বিশেষ শকট নামগুলো ছোট্ট একটি মেমারি চিপে আবদ্ধ করে নিয়ে যাবে৷ বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ৮ লাখ ১০ হাজার মানুষ লিপিবদ্ধ করেছেন তাদের নাম! এই তালিকায় শীর্ষে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা, ৩ লাখ ১৬ হাজার৷ এরপর আছে ব্রিটেনের অধিবাসীরা৷ প্রায় ৫৪ হাজার৷ ভারতের প্রায় ৩৯ হাজার এবং বাংলাদেশের ১৯'শ মানুষ রয়েছেন এই তালিকায়৷

আশা করা হচ্ছে ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে ল্যাবরেটরিবাহী রকেটটি মঙ্গলের দিকে ছুটে যাবে আগামী বছরের ২৫ নভেম্বর থেকে ১৮ই ডিসেম্বরের মধ্যে৷ এটি মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করতে পারবে ২০১২ সালের আগস্ট মাসের কোন একদিন৷ এটি মঙ্গলে থাকবে ২৩ মাস৷ দৈনিক ২০০ মিটার পর্যন্ত চলতে পারবে সেটি৷

২০০৬ সাল থেকে কাজ শুরু হয়েছে এই অভিযানের৷ ১০০ নভোবিজ্ঞানী কাজ করে যাচ্ছেন একে সফল করে তোলার জন্য৷ এই বিজ্ঞানীদের কেউ মার্কিনী আবার কেউবা রুশ, আছেন অন্যদেশের মহাকাশ বিজ্ঞানীরাও৷

প্রথমবারের মতো এ ধরণের একটি অভিযানে তো সকলের অংশগ্রহণ প্রয়োজন৷ আর তাই নাসার www.jpl.nasa.gov নামক ওয়েব সাইটে গিয়ে আপনিও অংশগ্রহণ করতে পারেন এই অভিযানে৷ এ জন্য নিজের নাম এবং দেশের নাম আর পোস্ট কোড দিয়ে একটি ছোট্ট ফর্ম পূরণ করতে হবে৷ আর হ্যাঁ, এই ফর্মটি পূরণ করার পর আপনাকে দেয়া হবে একটি সার্টিফিকেট৷ লেখা থাকবে... ‘আপনি ইতিহাসের অংশ৷ আপনার নাম মাইক্রোচিপে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মঙ্গলে৷' সব কিছু সফল হলে, সন্ধ্যার সুন্দর আকাশে মঙ্গলের দিকে তাকিয়ে বলতে পারবেন...দেখো আমার নামটিও সেখানে আছে!

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন