1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মঙ্গলে প্রাণ ‘থাকতেও পারে’ – বলছে নাসা

১১ সেপ্টেম্বর ২০১০

মঙ্গল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে সেই কবে থেকে চলছে বিভিন্ন বিতর্ক৷ নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, চিলির আটাকামা মরুভূমির মতই সেই গ্রহের প্রাকৃতিক পরিবেশ৷ সুতরাং প্রাণ থাকলে থাকতেও পারে৷

https://p.dw.com/p/P9ik
মঙ্গল, নাসা, গ্রহ, বিজ্ঞান, Mars
মঙ্গল গ্রহে অভিযানের অংশ বিশেষছবি: Beagel 2

ফিরে যাওয়া যাক ১৯৭৬ সালে৷ নাসার ভাইকিং মহাকাশযান সে বছর প্রথমবার মহাকাশের লাল গ্রহ মঙ্গলে হাজির হয়েছিল৷ সেখান থেকে খানিকটা মাটিও সংগ্রহ করে নিয়ে ফিরে আসে ভাইকিং৷ সেই মাটি পরীক্ষা করে বৈজ্ঞানিকরা দেখেন তাতে কোন কার্বন সমৃদ্ধ মলিকিউল বা বস্তুকণা নেই৷ আর সেটা না থাকলে প্রাণের অস্তিত্বও থাকা সম্ভব নয়৷

কিন্তু এই নাসাই আবার সাম্প্রতিক গবেষণায় দিয়েছে নতুন একটা খবর৷ মহাকাশযান ‘ফিনিক্স মার্স ল্যান্ডার' ২০০৮ সালে ফের ঘুরে এল মঙ্গল থেকে৷ ফিনিক্স গিয়েছিল মঙ্গলের মেরু অঞ্চলে৷ সেখান থেকে কিছুটা লালগ্রহের মাটি নিয়ে আসে ফিনিক্স৷ সেই মাটিতে নাকি রয়েছে কার্বন বস্তুকণা৷ অন্তত বিজ্ঞানীরা তো তেমনটাই বলছেন এবার৷

তা কার্বন থাকলেই কী প্রাণের অস্তিত্ব মিলবে? বিজ্ঞানীদের জবাবটা একটু অন্যরকমের৷ নাসার আমেস গবেষণা কেন্দ্রের ক্রিস ম্যাককয় উত্তর দিয়েছেন এই প্রশ্নের৷ ম্যাককয়ের বক্তব্য, ফিনিক্সের নিয়ে আসা লালগ্রহের মেরু অঞ্চলের মাটির নমুনা পরীক্ষা করে তাঁরা সন্ধান পেয়েছেন এমন সব মলিকিউলের, যেখানে প্রাণ থাকলেও থাকতে পারে৷

যুক্তিও রয়েছে এই কথাটার নেপথ্যে৷ মঙ্গলের মাটি পরীক্ষা করার আগে বিজ্ঞানীরা চিলির আটাকামা মরুভূমি থেকে একটা চক্কর লাগিয়ে এসেছেন৷ দেখা গেছে, আটাকামা মরুভূমির মাটি এবং সেখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে বেশ মিল রয়েছে মহাশূণ্যের এই রহস্যময় গ্রহটির৷ আটাকামা মরুভূমির মাটিতেও পাওয়া গেছে এমন সব বস্তুকণা, যা কিনা মঙ্গলের মেরু অঞ্চলের মাটির সঙ্গে মিলে যাচ্ছে৷ অন্তত বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়া এবং পরীক্ষানিরীক্ষা সেরকমই ইঙ্গিত দিয়েছে৷

তাহলে মঙ্গলে প্রাণ আছে? নাসার গবেষকরা জানাচ্ছেন, আছে কিনা তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়, তবে থাকতে পারে৷ এই ‘থাকতে পারে' কথাটাই নতুন করে মহাকাশের লালগ্রহ নিয়ে উৎসাহ বাড়িয়ে দিয়েছে৷

বোঝাই যাচ্ছে মঙ্গল নিয়ে উত্তেজনার পারদ তাহলে আবার একটু ওপরে চড়ে বসল৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন