মঙ্গলগ্রহে যাওয়ার সিঁড়ি তৈরি করলো ‘অপর্চুনিটি’
নাসার ‘অপর্চুনিটি’ রোভার প্রায় ১৪ বছর মঙ্গলের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ঘুরে বেরিয়েছে৷ প্রতিমুহূর্তে সেখানকার নিখুঁত ও বিস্ময়কর সব ছবি পাঠিয়েছে৷ হঠাৎ করেই একদিন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় তার সঙ্গে৷
কথা বলছে না অপর্চুনিটি
গত জুন মাসের ১০ তারিখের ঘটনা৷ নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, সেদিন অপর্চুনিটি রোভার মঙ্গলগ্রহের যেখানে ছিল সেখানে প্রচণ্ড ধূলিঝড় হয়েছিল৷ এ সময় অপর্চুনিটির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছিলেন বিজ্ঞানীরা, কিন্তু কোনো জবাব দেয়নি সে৷ প্রায় আট মাস অপর্চুনিটি থেকে কোনো ফিরতি সংকেত না পেয়ে এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অপর্চুনিটিকে মৃত ঘোষণা করেন তাঁরা৷
১৫ বছরের সফল, বিস্ময়কর যাত্রা
মঙ্গলে নেমে তিন মাস সক্রিয়ভাবে কাজ করবে প্রথমে এমনটাই ধারণা করেছিল বিজ্ঞানীরা৷ ২০০৪ সালে মঙ্গলে অবতরণ করা অপর্চুনিটি তিন মাসে এক কিলোমিটারের মতো অংশে ঘুরে বেড়ানোর কথা ছিল৷ কিন্তু বিস্মিত হন বিজ্ঞানীরা৷ প্রায় ১৫ বছর ধরে মঙ্গলের ৪৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয় রোভারটি৷
বিস্ময়কর তথ্য
১৫ বছরের এ যাত্রায় বিস্ময়কর সব তথ্য সম্বলিত ছবি পাঠিয়েছে অপর্চুনিটি৷ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, মঙ্গলের মাটিতে ছোট-বড় গর্ত, পাহাড় আর বিভিন্ন শিলার ছবি, যা দেখে বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন যে, মঙ্গলে একসময় পানি ছিল৷
ভূপৃষ্ঠের বিস্ময়
মঙ্গল থেকে পাঠানো বিভিন্ন ছবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বিভিন্ন সময়ে লাল রঙের গ্রহটির ভূপৃষ্ঠের ছবি৷ ছবিগুলো মঙ্গলের ভূপৃষ্ঠের বৈচিত্রময়তা নিঁখুতভাবে ফুটিয়ে তুলেছিল বিজ্ঞানীদের কাছে৷
খরচের অঙ্কও কম নয়
অপর্চুনিটির এ মিশনটি সফলভাবে শেষ করতে প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের বেশি গুনতে হয়েছে নাসাকে৷ আর ১৫ বছরের এ মিশনটিতে নিয়োজিত ছিলেন প্রায় ৩০০ কর্মকর্তা৷
মঙ্গলে পৌঁছেছে অপর্চুনিটির উত্তরসূরি
অপর্চুনিটি মিশন শেষ৷ তবে তার উত্তরসূরি ইনসাইট নামে একটি রোবট গত নভেম্বরে মঙ্গলের মাটিতে পা রেখেছে৷ আরো আধুনিক সাজে সজ্জিত হওয়া ইনসাইট, নতুন কোনো পথে হাঁটবে, আশা বিজ্ঞানীদের৷