ভ্রমণকালে জার্মানরা প্রায়ই যা বলেন
জার্মানিতে ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন? তাহলে এই অভিব্যক্তিগুলো জেনে নিন৷ এগুলো হয়ত ট্রাভেল গাইডে পাবেন না, তবে জানা থাকলে বেশ কাজে লাগবে৷
‘‘ইশ্ হাবে জেটলাগ উন্ড ব্রাওখে স্লাফট্যাবলেটেন’’
‘‘আমি ভ্রমণক্লান্ত এবং ঘুমের ট্যাবলেট দরকার৷’’ জার্মানিতে পৌঁছার পর আপনার জেটল্যাগ হতেই পারে৷ তবে আশার কথা হচ্ছে, এজন্য যা দরকার তা জার্মানির সর্বত্র পাওয়া যায়৷ শুধু বড় করে ‘এ’ লেখা ‘আপোথেকে’ মানে ঔষুধের দোকানে চলে যান এবং জার্মান ভাষায় উপরের লাইনটা বলুন৷ কাজ হয়ে যাবে৷
‘‘ইশ্ উবারনাখ্টে ইন আইনার এয়ারবিএনবি-ভ্যোনুং ইম হিপস্টার-ফিয়ারটেল’’
‘‘আমি একটি এয়ারবিএনবি অ্যাপার্টমেন্টে রাত কাটাচ্ছি যা হিপস্টার শহরতলীতে অবস্থিত৷’’ বিশেষ করে বার্লিনে একথা প্রায়ই শোনা যায়৷ এয়ারবিএনবির মাধ্যমে রুম ভাড়া করা তরুণ প্রজন্মের কাছে বেশ জনপ্রিয়৷ আর বার্লিনের ‘হিপস্টার’ শহরতলীগুলোতে এমন রুম পাওয়া কঠিন নয়৷
‘‘লোন্ট এস জিশ্, নয়েশ্যোয়ান্সটাইন স্যু বেস্যুখেন’’
‘‘নয়েশ্যোয়ান্সটাইনে ভ্রমণ কি ঠিক হবে?’’ অবশ্যই পর্যটকদের মতো সেখানে ঘুরে বেড়ানোটা সত্যিই আনন্দের, তবে পর্যটন মৌসুম নয় এমন সময় সেখানে গেলে ভালো হয়, কেননা তখন ভিড় কম থাকে এবং ভ্রমণটা আরো স্বাচ্ছন্দ্যের হয়৷
‘‘ইশ্ হ্যাটে গের্নে আইনেন লাটেমাকিয়াটো মিট সয়্যামিল্শ’’
‘‘আমি সয়াদুধসহ লাটে কফি পেতে চাই৷’’ হুম, ভেগান, হিপস্টার এবং ল্যাকটোজ গ্রহণে অক্ষমরা সয়াদুধের কফি পান করতে চান৷ আর শহরাঞ্চলের ক্যাফেগুলোতে এটা সহজে পাওয়া যায়৷
‘‘ডার্ফ ইশ্ সালেন, উম ইয়ারে টয়লেটে স্যু বেনুৎসেন’’
‘‘আমি কি পয়সা দিয়ে আপনার টয়লেট ব্যবহার করতে পারি?’’ শুধুমাত্র ক্যাফে বা দোকানে এটা জিজ্ঞাসা করতে পারেন৷ কোনো বাড়িতে নয়৷ রেস্তোরাঁর ভেতরে কিংবা দোকানে আপনি ক্রেতা হলেও টয়লেট ব্যবহারে কোথাও কোথাও পয়সা দিতে হতে পারে৷
‘‘ভ্যি স্ট্রেং সিন্ড ডি ট্যুরস্টেয়ার ভর ডেম ক্লুব?’’
‘‘ক্লাবের রক্ষী কতটা কঠোর?’’ আপনি যদি জার্মানি পুরোপুরি উপভোগ করতে চান, তাহলে রাতের জীবনটাও পরখ করতে হবে৷ এখানে ষোল বছর বয়স হলেই বিয়ার এবং ওয়াইন পান করা যায়৷ তবে তারচেয়ে ভারী কিছু পান করতে হলে বয়স আঠারো হতে হবে৷ সুতরাং আপনার বয়স কম না হলে ক্লাবে ঢুকতে বাধা পাওয়ার কথা নয়, যদি না আপনি জুতো এবং শার্ট না পরে থাকেন৷ কিংবা আপনার পোশাক ক্লাবের সঙ্গে একেবারেই মানানসই না হয়৷
‘‘ডিসার স্যুগ ফেরস্পেটেট সিশ ভেগেন আইনার ওবারলাইটুংসস্ট্যোরুং’’
‘‘ওপরের বৈদ্যুতিক লাইনে সমস্যার কারণে ট্রেনটি আসতে দেরি হচ্ছে৷’’ জার্মানিতে ট্রেনের গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে এটি একটি৷ যদিও ইউরোপের অন্য দেশের তুলনায় জার্মান ট্রেনের সময়জ্ঞান ভালো, তাসত্ত্বেও মাঝেমাঝে দেরি হয়৷ তাই জার্মানিতে পৌঁছাতে দেরি হয়ে গেলে অবাক হবেন না৷