1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভোট চাইতে দ্বারে দ্বার ঘুরছেন প্রার্থীরা

১১ আগস্ট ২০১৭

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের দল খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রীসহ বিভিন্ন দলের নেতারা কিছুটা আগের জমানার ফিরে গেছেন৷ আগামী ২৪ সেপ্টম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে দ্বারে দ্বারে গিয়ে সম্ভাব্য ভোটারদের সঙ্গে কথা বলছেন তাঁঁরা৷

https://p.dw.com/p/2i40N
ছবি: gruene-nrw.de

জার্মানির জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে৷ চ্যান্সেলর পদে আঙ্গেলা ম্যার্কেল এবং মার্টিন শ্যুলৎসের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে এমন প্রত্যাশ্যা হয়ত কম, তবে বিভিন্ন নির্বাচনি এলাকায় প্রার্থীদের মধ্যে লড়াই ভালোই জমবে৷ ফলে প্রার্থীদের মধ্যে শুরু হয়েছে ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর প্রতিযোগিতা৷ আর এই প্রক্রিয়ায় যোগ হয়েছে এক পুরনো কৌশল – ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কুশল বিনিময়৷

সম্ভাব্য ভোটারদের সঙ্গে দেখা করতে দরজায় টোকা দেয়ার এই পন্থার এক অন্যতম সমর্থক সামাজিক গণতন্ত্রী (এসপিডি) দলের মায়া লাসিচ৷ গত নির্বাচনের আগে এমনটা করে ভালোই সুফল পেয়েছিলেন তিনি৷ লাসিচ বলেন, ‘‘ভোটারদের সঙ্গে নিবিড় ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ায় আমি বাড়তি সুবিধা পেয়েছিলাম৷ তাঁদের সঙ্গে একটি সম্পর্ক তৈরি করতে দ্বারে দ্বারে যাওয়াটা আদর্শ উপায়৷ এভাবে আপনি মানুষ সম্পর্কে পাবলিক ইনফরমেশন স্টান্ডের চেয়ে বেশি জানতে পারবেন৷’’

তবে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার এই কৌশল সর্বত্র কাজে নাও আসতে পারে৷ লাসিচ স্বীকার করেছেন যে, বিভিন্ন দলের গোড়া ভোটারদের এভাবে কাবু করার সম্ভব নয়৷ আর সম্প্রতি এক গবেষণাতেও দেখা গেছে যে, অধিকাংশ মানুষই এভাবে দরজায় দাঁড়িয়ে নির্বাচনের আলাপ পছন্দ করেন না৷

কিন্তু তারপরও প্রার্থীরা এই পন্থা বেছে নিচ্ছেন কেন? রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সিমন ক্রুশিনস্কি বলেন, ‘‘অনেক ভোটার নিজেদের মনস্থির করতে একদম শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করেন৷ প্রার্থী দরজায় টোকা দিলে এধরনের ভোটারদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হয়৷’’

লাসিচ বলেন, ‘‘আমরা প্রায়ই এমন মানুষের মুখোমুখি হই, যাঁরা নিশ্চিত নন এসপিডি তাঁদের অধিকার রক্ষায় আদৌ কাজ করছে কিনা নিয়ে৷ একজন প্রার্থী যিনি তাঁদের সঙ্গে ব্যক্তিগত পর্যায়ে দেখা করতে যান, তিনি এই নিশ্চিয়তা দিতে পারেন৷’’

বলাবাহুল্য, বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর ব্যাপারটি জার্মানিতে কখনোই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো জনপ্রিয় ছিল না৷ তবে ক্রুশিনস্কি বলছেন, গবেষণায় দেখা গেছে এ ধরনের প্রচারণা বাড়তি ভোট পেতে সহায়ক৷ তবে শুধু বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়া নয়, অনলাইনেও ভোট চাওয়ার দিকে ঝুঁকছে রাজনৈতিক দলগুলো৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভোট চাওয়ার ক্ষেত্রে মুক্তগণতন্ত্রী দল (এফডিপি) এক্ষেত্রে বেশ এগিয়ে রয়েছে৷ অন্যরাও সক্রিয় অফলাইন এবং অনলাইনে৷

জেফারসন চেজ/এআই

প্রিয় পাঠক, ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসের এই ছবিঘরটি দেখতে পারেন...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান