ভেজাল মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান যুক্তরাজ্যে
১০ আগস্ট ২০১০ধরা যাক কোকেনের কথা, মাদক হিসেবে বাজারে এর দাম বেশ চড়া৷ আবার ওষুধের উপাদান হিসেবে এর ব্যবহার রয়েছে৷ এখন কোকেনের সঙ্গে বেনজোকেন বা লিডোকেন ব্যবহার করে তা কোকেন হিসেবে চালিয়ে আসছিলেন এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী৷ ১ কিলোগ্রাম বেনজোকেন ও লিডোকেন কিনতে খরচ হয় ১০ পাউন্ডের মতো৷ অন্যদিকে এ সঙ্গে কোকেন মিশিয়ে তা বিক্রি হয় প্রায় ৫০ হাজার পাউন্ড দরে৷ বেশ লাভজনক এই অবৈধ ব্যবসা ধরা পড়েছে সিরিয়াস অর্গানাইজড ক্রাইম এজেন্সি-সকা'র অভিযানে৷ এই সংস্থাটি যুক্তরাজ্যে গুরুতর অপরাধ দমনে কাজ করে৷
ছয় মাস বাজার পর্যবেক্ষণ করে তারা নিশ্চিত হয়েছে, কোনো কোনো ব্যবসায়ী এই ব্যবসা করে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যাচ্ছেন৷ মাদক হিসেবে এই কোকেনের খরিদ্দারও রয়েছে৷ বিশেষ করে, তরুণ-তরুণীরা৷ স্বল্প আয়ের এই মাদকসেবীরা কোকেন মনে করে যা কিনছেন, তাতে কোকেন থাকে সামান্যই৷ অনেক সময় থাকেই না৷ কিন্তু দাম কম, তাই মাদকসেবীদের কাছে এটা জনপ্রিয় হচ্ছে৷ যদিও এই মিশ্রণ স্বাস্থ্যের জন্য বেশ বিপজ্জনক৷
সকা'র কয়েকজন কর্মকর্তা গত মাসে সমুদ্র বন্দর ও বিমান বন্দরে অভিযান চালিয়ে ৮৩ ব্যারেল বেনজোকেন আটক করে৷ ওই আটকের ইতিবাচক প্রভাব তাৎক্ষণিকভাবে পড়েছিলো৷ এরপর গত পাঁচ সপ্তাহে বেনজোকেন আমদানি একেবারেই বন্ধ ছিল৷ বেনজোকেন ও লিডোকেন সাধারণ যুক্তরাজ্যে যায় ভারত ও চীন থেকে৷ দাঁতের চিকিৎসায় অর্থাৎ দাঁতকে অনুভূতিনাশক করতে, প্রাথমিক চিকিৎসার মলম তৈরিতে ও গলার স্প্রেতে এই ওষুধগুলো ব্যবহার করা বৈধ৷
একইভাবে ওষুধের অন্য উপাদানের সঙ্গেও সস্তা উপদান মিশিয়ে তা আসল উপাদানের দামে বিক্রি হওয়ার নজিরও খুঁজে পেয়েছেন সকা'র কর্মকর্তারা৷ তাই তারা এই অভিযানে নেমেছেন৷ বলছেন, তারা এই চক্রের হোতাদের খুঁজে বের করতে চেষ্টা করছেন৷ কয়েকজন অপরাধীকে বিচারের কাঠগড়ায়ও দাঁড় করানো হবে৷
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: মনিরুল ইসলাম